রাষ্ট্রীয়ভাবে ইটপাথরের শহীদ মিনারে সম্মান জানালেও একুশের শহীদদের কবরে মাগফেরাত কামনায় অনুপস্থিতি দুঃখজনক মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মাগফেরাত কামনা আনুষ্ঠানিকতা থাকা উচিত। কারণ ইট পাথরের স্তম্বে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা সহ রাষ্ট্রীয়ভাবে আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তাই শহীদ বরকত, শফিউর, সালাম, রফিক, জব্বারের সমাধীতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানাতে হবে। ডাঃ ইরান বলেন, ভারতীয় হিন্দি ভাষার আগ্রাসন বন্ধ করতে না পারলে বাংলা ভাষার অবাধ ব্যবহার হুমকির মুখে পড়বে। স্টার জলসা, জি সিনেমাসহ ভারতীয় চ্যানেলের অবাধ প্রদর্শনীর কারণে কোমলমতি নতুন প্রজন্ম হিন্দি ভাষা শিখছে। রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার এখনো প্রয়োগ হয়নি। আদালতে বার বার বাংলায় রায় লেখার কথা বলা হলেও এখনো তা কার্যকর হয়নি। ঢাকা শহরে সহ দেশের সর্বত্র ইংরেজী ও হিন্দি ভাষায় সাইনবোর্ড প্রদর্শন করা হচ্ছে। মুখে একুশের চেতনার কথা বলা হলেও ভিনদেশী ইংরেজী ও হিন্দির আগ্রাসনে বাংলা ভাষা হুমকির মুখে রয়েছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও ও মোবাইল কোম্পানিগুলো পরিকল্পিত ভাবে বাংলা ও ইংরেজির বিকৃতরূপ ও উচ্চারণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় আজিমপুর গোরস্থানে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও বাংলাদেশ ছাত্রমিশনের উদ্যোগে একুশে শহীদগণের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের সাথে তিনি একথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক মোঃ মিরাজ খান, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্রমিশন সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মামুন, কামরাঙ্গিরচর থানা আহ্বায়ক লোকমান হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সাব্বির হোসেন, সদস্য সচিব মোঃ আবদুর রহমান, যাত্রাবাড়ী থানার যুগ্ম-আহ্বায়ক জুয়েল মাহমুদ, পল্টন থানার যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ খোকন হোসেন, কোতয়ালী থানার সদস্য সচিব মোঃ জিবন ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।