বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
জামায়াত শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্মরণে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সময়টিকে স্মরণ করবে বলে জানিয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী,
১ জুলাই দেশব্যাপী প্রতিটি শাখায় শহীদ, আহত ও পঙ্গুদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
২ থেকে ৪ জুলাই অসহায়, দরিদ্র ও ইয়াতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ কার্যক্রম চালাবে জামায়াত।
৮ থেকে ১৫ জুলাই শহীদ ও আহত নেতাকর্মীদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
১৬ জুলাই রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ জুলাই দুটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে—
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াত ঘোষিত ৭ দফা দাবির পক্ষে জাতীয় সমাবেশ
শহীদ পরিবারের আয়োজনে অনুষ্ঠানে আমীরে জামায়াতের অংশগ্রহণ
২০ থেকে ২৪ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও গণপ্রত্যাশা পূরণে সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন থাকবে।
২৫ থেকে ২৮ জুলাই অভ্যুত্থান-ভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
২৯ ও ৩০ জুলাই মহিলা ও ছাত্রীরা আলাদা আলোচনা সভা করবেন।
১ আগস্ট শহীদ স্মারকের ইংরেজি ও আরবি অনুবাদের মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
১ থেকে ৩ আগস্ট ছাত্রদের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলবে।
৫ আগস্ট দেশব্যাপী গণমিছিল এবং রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে জামায়াত।
৬ থেকে ৮ আগস্ট বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা হবে, যার মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী এবং আলেম-ওলামারা।
জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং ‘গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে’ সচেতনতা বাড়াতে চায়।