DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

রাজনীতি

লালবাগে ইসলামী ঐক্যজোটের ইফতার মাহফিলে বক্তারা

আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর একটি বাক্স হবে

ইসলামী ঐকজোটের ইফতার মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অপরাধ সংঘটিত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কুরআন সুন্নাহর শাসন ব্যবস্থার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যেই ইসলামী ঐক্যজোটসহ সমমনা ইসলামী

Printed Edition
Default Image - DS

ইসলামী ঐকজোটের ইফতার মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অপরাধ সংঘটিত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কুরআন সুন্নাহর শাসন ব্যবস্থার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যেই ইসলামী ঐক্যজোটসহ সমমনা ইসলামী দলগুলো কাজ করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দেশকে যে ভঙ্গুর অবস্থায় রেখে গেছে তা থেকে উত্তরণে এবং ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদের পথ রুদ্ধ করতে যেমন রাষ্ট্র সংস্কার প্রয়োজন তেমনি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জাতীয় নির্বাচনও প্রয়োজন। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করবে। তারা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেবে এবং ইসলামের পক্ষে একটি ভোটের বাক্স থাকবে। তারা বলেন, বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অপরাধীদের গ্রেফতার করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল রোববার বিকাল ৫টায় লালবাগস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোটের উদ্যোগে “পবিত্র মাহে রমযানের তাৎপর্য ও করণীয় শীর্ষক” আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা জসীম উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাওলানা সৈয়দ ইসহাক মোঃ আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সদস্য সচিব আখতার হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মজলিশে শূরার সদস্য মাওলানা আলী আজম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতী সামছুল আলম, মাওলান সাইফুল্লাহ হাবিবী, মুফতী মঞ্জুর মুজীব, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ গাজী, প্রচার সচিব মাওলানা কাজী আজিজুল হক, মাওলানা আনছারুল হক ইমরান, মাওলানা ইউসুফ ভুইয়া, মাওলানা আব্দুল্লাহ ফরহাদ, মাওলানা আনোয়ারুল হক, মাওলানা আবুল হাশেম, খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা ফয়সাল আহমদ প্রমুখ।

বক্তরা আরও বলেন, বিগত ১৬ বছর আওয়ামী সরকার আলেম-উলামা ও ইসলামপন্থী জনতার উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে ছিল। তারা নিরাপরাধ মানুষকে গুম করে জঙ্গী সাজিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করতো। হাসিনার আয়না ঘর ছিল ফেরাউনের জেলখানা সমতুল্য। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পতন ঘটেছে। বর্তমানে দেশ গঠনের লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রমযান মাস আত্মশুদ্ধির মাস, আত্মসংযমের মাস, এই মাসে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আমাদের আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে হবে। গরীব, অসহায় ও পীড়িত মানুষের জন্য দানের হাতকে সম্প্রসারিত করতে হবে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।