জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান বলেছেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম আমাদের প্রেরণার উৎস। মুক্তিযুদ্ধে শহীদান ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ট সন্তান। লাখো শহীদের রক্তে বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠিত হলেও জাতি স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল থেকে জাতি বঞ্চিত। জামায়াত গণমুখী, কল্যাণকামী ও গণতান্ত্রিক একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে রক্তস্নাত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। গত জুলাই বিপ্লবে জামায়াত ছাত্র-জনতার সাথে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতার সুফল জাতির দ্বারে পৌঁছে দিতে ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াত যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার অতীতে জাতিকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছে। অথচ আমাদের স্বাধীনতার চেতনা ছিল ঐক্যের, বিভক্তির নয়। দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কারণে দীর্ঘ ১৬ বছর পর একটি প্রতিষ্ঠিত ফ্যাসিস্ট শক্তিকে বিদায় করা সম্ভব হয়েছে। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে রাজনৈতিক ঐক্য ও সহনশীলতার বিকল্প নেই। দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈষম্যহীন দেশ গড়ায় এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে, মহানগর সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মোনাজাত পরিচালনা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন মহানগর নায়েবে আমীর ড. নুরুল ইসলাম বাবুল এবং হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা মিফতাহুদ্দীন আহমদ। সভায় সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন থানা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে সাবেক ছাত্র নেতৃবৃন্দের নিয়ে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।