বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সকল দল মতের উর্দ্ধে উঠে কাজ করার আহবান জানান। খুলনায় গ্যাস সরবরাহ না করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঘোষিত সকল কর্মসূচি সফল করতে হবে। খুলনার ইয়ারপোর্ট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর সাথে কথা হয়েছে। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সাথে দেখবেন। এ বিষয় নিয়ে আমি পার্লামেন্টেও কথা বলেছি। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সকল আন্দোলন সংগ্রামে আমি সক্রিয় ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের এক সাথে বসার সুযোগ হয়েছে। জামায়াত কার্যালয়ে বসে মতবিনিময় করতে পারছি। এ জন্য প্রথমে আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনা করছি। গতকাল রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুর একটার দিকে নগরীর রয্যাল মোড়স্থ খুলনা মহানগরী জামায়াত কার্যালয়ে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান, সহ-সভাপতি মো. নিজামউর রহমান লালু, মিনা আজিজুর রহমান, অধ্যাপক মো. আবুল বাসার, মামনুরা জাকির খুকুমনি, মহাসচিব এডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, যুগ্ম মহাসচিব মো. মনিরুজ্জামান রহিম, মোল্লা মারুফ রশীদ, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জি. সরদার রফিকুল আলম, অর্থ সম্পাদক শেখ গোলাম সরোয়ার, মৎস্য ও বন বিভাগ সম্পাদক এস এম মুর্শিদুল রহমান লিটন, দফতর সম্পাদক রকিব উদ্দিন ফরাজি, শ্রম সম্পাদক শেখ আব্দুস সালাম, খলিলুর রহমান. আব্দুল খালেক শিকদার, এইচ এম আলাউদ্দিন, প্রমিতি দফাদারসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তৃতা করেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান। এ সময় তিনি বলেন, ভোলা থেকে খুলনায় গ্যাস সরবরাহ না করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ১৬ এপ্রিল খুলনা জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ের সামনে বেলা ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী পালন ও জেলা প্রসাশকের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করার কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান। এ কর্মসূচি সফল করার জন্য খুলনার সকল রাজনৈতিক ও নাগরিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করার অংশ হিসেবেই আজকের এই মতবিনিময় সভা। তিনি উক্ত কর্মসূচীতে খুলনার সকল নাগরিকদের অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া আগামী ২৫ এপ্রিল ১৪৩তম খুলনা দিবস পালন উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনা সভা, কেক কাটা ও মেজবান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ডুমুরিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূনর্মিলনী

ডুমুরিয়া খুলনা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, নতুন স্বাধীনতার পর এবারের ঈদ নতুন একটি আবহে উদযাপিত ]হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগ মানুষের ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আওয়ামী জুলুমের অবসানে যারা রক্ত দিয়েছে আমরা শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং আহত পঙ্গুত্ববরণকারীদের সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।’ তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন কায়েম করে খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি এসব বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়াও আগামী নির্বাচনে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের জন্য ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কোন ষড়যন্ত্র জামায়াতের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না। জামায়াত তার অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’ তিনি বলেন, আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে হিন্দু মুসলিম কিংবা মেজরিটি মাইনরিট বলে কিছু থাকবে না। দু:শাসন এবং জুলুমের কারণে আপনাদের মুখ দেখতে পারিনি। আজ প্রাণখোলে দেখতে চাই। তিনি বলেন, ‘মাহে রমযানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে বাকি ১১ মাস আমাদেরকে সুন্দরভাবে চলতে হবে। তাকওয়াপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে জামায়াত কর্মীদেরকে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। মায়া-মমতা ও ভালোবাসা ভরা সমাজ কায়েমে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য তিনি সংগঠনের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।’ বুধবার (২ এপ্রিল) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বানিয়াখালী হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

এডভোকেট আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে ও হারুনুর রশিদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম ও অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মুখতার হুসাইন, নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ড. একরাম উদ্দিন সুমন, সরদার আব্দুল ওয়াদুদ, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হাকিম, এস এম মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

অপরদিকে ঈদ উল ফিতরের পরের দিন (১ এপ্রিল) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকাস্থ ডুমুরিয়া-ফুলতলা কল্যাণ পরিষদের উদোগ্যে সরকারি শাহ্পুর মধুগ্রাম কলেজ অডিটরিয়ামে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ পূনর্মিলনী পরিষদের সভাপতি সরদার আবদুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্যার পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও অধ্যক্ষ গাওসুল আযম হাদী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, হাফেজ আমিনুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, জেলা ছাত্রশবির সভাপতি ইউসুফ ফকির, পরিষদের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম আল ফয়সাল, ড. একরাম উদ্দিন সুমন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মওলানা মুখতার হুসাইন ফুলতলা উপজেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলিম মোল্যা, ডুমুরিয়া উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, শেখ মিজানুর রহমান, মাওলানা কামারুজ্জামান, ড. মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ডা. আবু এসানুর, শরিফুল ইসলাম পারভেজ, এডভোকেট মাহফুজুর রহমান প্রমূখ। এদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় শাহপুর ভ্যাটার্নিটি কলেজে ও সকাল সাড়ে ১১টায় ডুমুরিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জনশক্তিদের নিয়ে ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।