ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আজ ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় দলের এক জরুরী বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে বলেছেন, ২৪ এর জুলাইয়ে রক্তের নজরানা দিয়ে ছাত্র-জনতা যে দাবীর যথার্থতা প্রমান করেছে সেই দাবীর আইনী ও রাজনৈতিক স্বীকৃতি আদায়ে আমাদের রাজপথে লড়াই করতে হচ্ছে; এরচেয়ে দুঃখজনক বিষয় আর কিছু হতে পারে না। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছাত্র-জনতার রক্তের দায় শোধ করতে রাজনৈতিক আন্দোলন চালিয়েই যাবে ইনশাআল্লাহ।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ৫ দফা দাবী আদায়ে এর আগেও আমরা দুই দফায় কর্মসূচি পালন করেছি। দ্বিতীয় দফায় ১ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর দেশব্যাপী গণসংযোগ, ৯ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং আজকে সারাদেশের সকল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কর্মসূচিতে মানুষের স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ আমাদেরকে অনুপ্রানিত করেছে। যারা কষ্ট করে আমাদের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তাদের সকলকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
সরকারের পক্ষ থেকে জনতার যৌক্তিক এসব দাবীর প্রতি ইতিবাচক সংবেদনশীলতা প্রদর্শন না করায় আমরা তৃতীয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি।
আমাদের দাবীসমূহ হচ্ছে-
(১) জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মাধ্যমে গণভোট প্রদান করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা।
(২) আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট প্রদান করা।
(৩) অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
(৪) ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
(৫) স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
এসব দাবী আদায়ে আগামী ১৪ অক্টোবর ঢাকাসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন এবং ১৫ অক্টোবর সারাদেশের সকল জেলায় সকাল ১১টা থেকে ১২টা মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দসহ সারা দেশের সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেবে।
জরুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্মমহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ,আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফি, অধ্যাপক নাছির উদ্দিন, ডাক্তার শহিদুল ইসলাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরি ও মুফতি হেমায়েতুল্লাহ প্রমূখ।