ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পাঠ করানোর জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
শনিবার (১৭ মে) তিনি এ আবেদন দাখিল করেন। আবেদনের সঙ্গে তিনি নির্বাচন-পরবর্তী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রকাশিত গেজেট সংযুক্ত করেন।
আবেদনে বলা হয়, আমি ইশরাক হোসেন ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। তপশিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস নানা রকম অনিয়ম করে ভোটারবিহীন কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন দখলে নিয়ে ভোট সম্পন্ন করে। তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারের যোগসাজশে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় এবং বিগত ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশ করা হয়।
গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে আমি স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিধিমালায় বর্ণিত সময়ের মধ্যে ওই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে নূর তাপসকে মেয়র হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করার গেজেট বাতিল ও আমাকে নির্বাচিত মেয়র হিসেবে ঘোষণা করার প্রার্থনা করে দায়ের করি। ট্রাইব্যুনাল শুনানি নিয়ে গত ২৭ মার্চ রায় ঘোষণা করেন এবং রায়ে ফজলে নূর তাপসকে মেয়র হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করার গেজেট বাতিল করেন এবং আমাকে নির্বাচিত মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেন। অতঃপর নির্বাচন কমিশনকে রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। নির্বাচন কমিশন ওই রায় পাওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল আমাকে নির্বাচিত মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনে উল্লেখ আছে, মেয়র বা কাউন্সিলরদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সরকার বা মনোনীত কর্তৃপক্ষ মেয়র ও সব কাউন্সিলরকে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এতে স্পষ্ট যে এই ধারা অনুযায়ী নির্বাচিত মেয়রকে গেজেট প্রকাশ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শপথ পাঠ করানোর আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এটা পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, গেজেট প্রকাশের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আমাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র হিসেবে শপথ পাঠ করানোর কোনো ব্যবস্থাই এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি।
এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত গেজেট এবং স্থানীয় সরকার আইনে বর্ণিত বাধ্যবাধকতার আলোকে আমাকে অনতিবিলম্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পাঠ করানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।