বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক ও এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে কী দুঃসময় সময়ই না আমরা পার করেছি। দীর্ঘ দিন আপনজনের চেহারা দেখতে পারিনি। পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তানদের খবর রাখতে পারিনি। বাড়ি-ঘরে যেতে পারিনি। বাসা-বাড়ি সবছেড়ে মাঠে-ঘাটে, বিলে খেত-খামারে, লেখাপড়া ছেড়ে দিনের পর দিন থাকতে হয়েছে। চাকরি নেই, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। কী এক নিরাপত্তাহীন বিভীষিকাময় জীবন! তাছাড়া মাঝে মাঝেই খবর হতো ওমক নেতার জীবন গেল, ওমক নেতার ফাঁসি হল। ওমক গ্রেফতার হল, ওমকের জেল হল। সে সময়ের দুঃসহ দিনগুলো স্মরণ করলে মনে হয় আল্লাহর সিজদায় পড়ে থাকি। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। শুকরিয়া আদায় মানে মুখে উচ্চারণ করা নয়। দ্বীনের জন্য ঈমানের প্রয়োজনে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে আমানত অর্পিত হয়েছে সে দায়িত্ব শতভাগ পালন করাই হচ্ছে সেই নিয়ামাতের শোকর আদায় করা।

শনিবার (২২ মার্চ ) ডুমুরিয়া-ফুলতলা কল্যাণ পরিষদ-ঢাকা আয়োজিত সরদার আবদুল ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে এবং এ. কাইয়ুম আল ফয়সাল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. মোঃ মতিয়ার রহমান, জনাব নুরু ইসলাম সাদ্দাম, এড. মিজানুর রহমান ও জনাব মাকসুদুর রহমান মিলন।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, নির্বাচনকে আমরা গতানুগতিক অন্যান্য দল যেভাবে করে দুনিয়া পদ-পদবি, লোভ-লালসা, মান-মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধাসহ নানা স্বার্থ হাসিল করা; ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনকে সেভাবে গ্রহণ করে না। আমাদের নির্বাচন হচ্ছে আল্লাহর তাআলার দ্বীন প্রতিষ্ঠার একটি অংশ। আমরা দ্বীনকে যদি বাংলাদেশের পার্লামেন্টে ৫ বছর পর পর জনগণের মতামতের ভিত্তিতে কারা নির্বাচিত হবে, কেমন নেতৃত্ব আসবে, কেমন আইন হবে, সংসদে কারা যাবে এইভাবে বাছাইয়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর আইনের পক্ষে, কুরআনের বিধানের পক্ষে যদি জনমত গঠন করতে পারি; এটাই তো দ্বীনের পক্ষে সংগ্রাম করা।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন বাংলাদেশে জামায়াতের পক্ষে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। অনেকেই বলছেন, যে যাই বলুক, এবার আমরা জামায়াতের সাথে থাকব। আরও আশার আলো হল অনেক অমুসলিম ভাইও এবার আমাদের সাথে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জামায়াতের প্রতি আপনাদেরও এবার দৃঢ় সমর্থন থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্তি করছি।