একেএম আবদুর রহীম

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের আলোচিত ভিআইপি আসন ফেনী-১ রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন পর এ আসন ফিরে পেতে মাঠে নেমেছে বিএনপি। আর নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে নিয়মিত সভা-সমাবেশ, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও উঠোন বৈঠকের মাধ্যমে সংগঠনকে চাঙ্গা করছে জামায়াত।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, দুজনেরই পৈতৃক বাড়ি ফুলগাজীতে।

এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি ও এবি পার্টিসহ কয়েকটি দল প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জানা যায়,

ফেনী-১ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৮০ হাজার ৭২৭ জন, যার মধ্যে ছাগলনাইয়া এক লাখ ৭৫ হাজার ৮৭০, ফুলগাজী এক লাখ ১১ হাজার এবং পরশুরাম ৯৩ হাজার ৮৫৭ জন। ভারত সীমান্তবর্তী এই আসনে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের ভয়াবহ বন্যার অভিজ্ঞতা এখন নির্বাচনী প্রচারণার মূল ইস্যু। বিএনপি ও জামায়াত। প্রচারণায় তারা গুরুত্ব দিচ্ছে- মুহুরী-কহুয়া নদীর তীরে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, বল্লামুখ বাঁধ রক্ষা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, মুহুরীর চরে বাংলাদেশের কৃষকদের প্রবেশে ভারতের বাধা অপসারণ এবং বর্ষাকালে ভারতের হঠাৎ পানি ছেড়ে দিয়ে এ অঞ্চলে বন্যা সৃষ্টির স্থায়ী সমাধান।

বিএনপি : খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা ঘিরে সংগঠনে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। এই আসনে নব্বইয়ের দশক থেকে পাঁচবার বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

এবারে রফিকুল আলম মজনু, বেলাল আহমদ, নুর আহম্মদ মজুমদারসহ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে খালেদা জিয়াকে প্রার্থী ঘোষণা হলে মাঠে নতুন গতি আসে। এরপর থেকে ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণায় নেমেছে বিএনপি, যুবদল ও শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা। প্রচারণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন রফিকুল আলম মজনু। তার সাথে রয়েছেন নুর আহম্মদ মজুমদার, কেন্দ্রীয় নেতা বেলাল আহম্মদ, জালাল উদ্দিন মজুমদার, পরশুরামের আবু তালেব, আবদুল হালিম ও যুবদল ও শ্রমিকদলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

জামায়াত : ‘ইতিবাচক ভূমিকার স্লোগানে মাঠে সংগঠিত প্রচারণা চালাচ্ছে জামায়াত। জুলাই বিপ্লবের পর ফেনী-১ এ জামায়াতের রাজনীতিতে নতুন গতি পায়। অস্থির সময়ে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-মন্দির পাহারা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ‘ইতিবাচক ভূমিকা’ তুলে ধরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।

কেন্দ্রীয় শূূরা সদস্য ও আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিনকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে জামায়াত-শিবির, ছাত্রী সংস্থা ও মহিলা সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাড়া-মহল্লায় বৈঠক, সামাজিক সহায়তা কার্যক্রম, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করে ভোটার টানার চেষ্টা করছে।

জেলা আমীর মুফতি আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান, আজাদ হোসাইন, অধ্যক্ষ পেয়ার আহম্মদ মজুমদার, মির্জা আবদুল হান্নানসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মাঠ চষে বেড়াচ্ছন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গত সপ্তাহে প্রার্থী কাজী গোলাম কিবরিয়ার পক্ষে শক্তিশালী মোটর শোভাযাত্রা করেছে।

খেলাফত মজলিসের দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে লড়ছেন মাওলানা আজিজুল্লাহ আহমদী। এছাড়া ছোট ছোট কিছু দল তাদের প্রার্থী নিয়ে এ আসনে কাজ করছে ।

ভোটার চান এ আসনটিতে একজন যোগ্য প্রার্থী আসুক। যিনি সীমান্ত বিরোধ এবং বল্লনমুখাবাদ সহ সীমান্ত সংলগ্ন নানা ইস্যুতে যিনি কাজ করতে পারবেন। তাই দেশের মানুষের নজর রয়েছে এই আসন ঘিরে।

ফেনী- ২

ফেনী-২ সদর আসনে জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের একক প্রার্থী মাঠে নেতাকর্মীদের নিয়ে জোর প্রচারণা চালিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। ক্লিন ইমেজের প্রবীণ নেতা অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূইয়াকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে জমজমাট প্রচারণায় অংশ নিয়ে ফুরফুরে অবস্থানে রয়েছেন তিনি।

ধানের শীষ প্রতীকের ঘোষিত প্রার্থী নিয়ে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি-গ্রুপিং চরম আকার ধারণ করেছে। দুর্বল হয়ে পড়ছে দলটির সাংগঠনিক অবস্থান।যার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন দলটির প্রার্থী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি।

এছাড়া এবি পাটির চেয়ারম্যানের বাড়ি এ আসনে হওয়ায় বড় দলের সঙ্গী হয়ে সুযোগ নিতে চান তিনিও। বসে নেই অন্যান্য ছোট ইসলামী দলগুলো এবং ছাত্রদের নতুন দল এনসিপি। সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা নিজনিজ দলের পক্ষে উঠান বৈঠক, বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, শোডাউনসহ সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যেমে সাধারণ মানুষের মন জয় করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটাররাও দীর্ঘদিন ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মুখিয়ে আছে।

জেলার তিনটি আসনের মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ ও সবচেয়ে আলোচিত সদর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১২ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনকে বলা হয় জেলার নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র। তাই যিনি এখানকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তিনি বরাবরই পুরো জেলার রাজনীতির নিয়ামক হিসেবে অবস্থান করেন।

জানা যায়, ভিপি জয়নালকে এ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকে ফেনী জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মাঝে ছাপা ক্ষোভ, অসন্তোষ ও হতাশা দেখা দেয়। ক্ষুব্ধরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাইকমান্ডের নিকট প্রার্থী বাছাইয়ে রিভিউ প্রত্যাশা করে পোস্ট করেন।

তখন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “গত ১৭ বছর তো উনি ( ভিপি জয়নাল) দিবস বিহীনভাবে ফেনীতে আসেননি। মনোনয়ন ঘিরে যে আনন্দ উচ্ছ্বাস; তার পরিবর্তে ফেনী-২ আসন এখন কিন্তু শ্মশানঘাট হয়ে আছে। তবে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত! আমি চাইবো দল আবার তৃণমূলে এসে রিপোর্ট নিক’’।

সম্প্রতি হাসপাতাল মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সভায় ভিপি জয়নাল বলেন-তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় দলের ৯৯% নেতাকর্মী খুশি হয়েছে। বাকি ১% ‘চোর-ডাকাত’ এতে নাখোশ হয়েছে ।

ভিপি জয়নালের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আলাল উদ্দিন আলাল বলেন-ফ্যাসিস্ট আমলে আমরা যারা ৫০-৬০ কিংবা ১০০টি মামলার আসামী হয়ে বারবার জেল খেটেছি। ফ্যাসিস্টদের চোখেতো আমরা সবাই চোর-ডাকাতই।তিনি (ভিপি জয়নালতো) তখন একটা মামলায়ও আসামী হননি। জেলেও যাননি। সেজন্য ফ্যাসিস্টদের চশমা পরে তিনি আমাদের তাদের মতো করেই দেখছেন।

এ আসনে ধানের শীষের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক ফেসবুকে এনিয়ে একাধিক স্ট্যাটাসে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপি উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছেন- বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এখন মাঠের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন।

আসনটিতে বিএনপির জন্য নতুন একটি সমীকরণ তৈরি করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এখান থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

লিয়াকত আলী ভূঁইয়া জেলা জামায়াতের একাধিকবার আমীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ছাত্রজীবন থেকেই দলটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রবীন ও ক্লিন ইমেজের এই নেতাকে প্রতিদিন গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সুখে-দুখে মানুষের পাশে থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তৃণমুলে সাধারণ মানুষের মনে এরই মধ্যে ঠাই করে নিয়েছেন লিয়াকত আলী ভূইয়া।

তাছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাত পাখা) জেলা সেক্রেটারি একরামুল হক ভূঁইয়াকে, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিক্সা) হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া ও খেলাফত মজলিস (দেয়াল ঘড়ি) মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সলকে নিজ নিজ দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসন

এ আসনে দুই উপজেলার বিএনপির কমিটি নিয়ে প্রকাশ্যে চলছে বিরোধ। পাল্টাপাল্টি শোডাউন, সংঘাত-সংর্ঘষ, বহিষ্কার ও ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। বিরাজমান পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষকে ইন্ধন দিচ্ছে ধানের শীষ প্রতীকের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের মধ্যস্ততায় দুই পক্ষকে নিয়ে দফায়দফায় সমঝোতা বৈঠক করা হলেও এখনো বিরোধ মিটেনি। প্রকাশ্য কোন্দলের করণে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ছে। তৃণমূলে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা ও ক্ষোভ।

অপর দিকে দলীয় একক প্রার্থী ঘোষণা করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ঐক্যবদ্ধ জামায়াতে ইসলামী।নির্বাচনী আসনের প্রতিটি এলাকায় সভা-সমাবেশ ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠান বৈঠাকসহ নিয়মিত নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ডা.ফখরুদ্দিন মানিক।

অনেক জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে ফেনী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর নাম।

জেলার তিনটি আসনের মধ্যে জটিল সমীকরণের এ আসনে সীমিত পরিসরে প্রচারণায় চালিয়ে যাচ্ছেন জেএসডি (রব) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। বিগত সময়ে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ আন্দোলনের অবদান হিসেবে শরিক থেকে আসনটি দাবি করবেন তিনি।

ফেনী-৩ আসনটির সীমানা ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ছিল সোনাগাজী উপজেলা ও ফেনী সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনের সীমানা পরিবর্তন হয়ে ফেনী-২ আসন থেকে দাগনভূঞাকে কেটে ফেনী- ৩ আসনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে এ আসন দাঁড়িয়েছে সোনাগাজী উপজেলার একটি পৌরসভা, ৯টি ইউনিয়ন ও দাগনভূঞা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে।

আবদুল আউয়াল মিন্টু নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেই একটি বড় ধাক্কা খেয়েছেন। তার প্রথম শোডাইনে প্রকাশ্যে রোড ব্লক,হামলা, ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে স্বদলীয়দের দ্বারা।

অপরদিকে এখানে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত ডা. মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন মানিক। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার হন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের শীর্ষ নেতারা। নির্যাতনের খড়গ থেকে বাদ যাননি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি। প্রায় ৮০টি মামলায় কারাগার-আদালতের কাঠগড়ায় কাটিয়েছেন বেশ কয়েকবছর। ছাত্র সংগঠন থেকে বিদায়ের পর জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে যুক্ত হয়েই ফেনী-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন পান ডা. মানিক।

দীর্ঘদিন ধরে দাগনভূঞা-সোনাগাজী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মতবিনিময় করছেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা. মানিক।

দাগনভূঞায় এক পথসভায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমান তাকে দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে দলীয় নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হয়ে সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করছেন। পাড়া-মহল্লায় চষে বেড়িয়েছেন। সপ্তাহের ৪/৫ দিন কোন না কোন এলাকায় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছেন ।ইতিমধ্যে একাধিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বড় ধরনের শোডাউন করে সাধারণ ভোটারদের উজ্জিবিত করে রেখেছেন।

অন্যদিকে জেএসডি (রব) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক স্বপন এ আসনে বিএনপি জোটের মনোনয়ন নিতে চান। যদিও এখানে দলটির কোনো ভিত বা তেমন কার্যক্রম নেই। এর আগে তিনি ২০১৮ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ঢাকা-১৮ আসনে ভোট করেন।

এছাড়া এ আসন থেকে এবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের (মামুনুল হক) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা এনামুল হক মুসা, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ আলি মিল্লাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগরের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইফুদ্দিন শিপনকে নিজ নিজ দলের একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরা সবাইও এখানে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।