কুতুবদিয়া সরকারি কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে “নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন” শীর্ষক অনুষ্ঠান রবিবার (২ নভেম্বর) কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. এ. এইচ. এম. হামিদুর রহমান আযাদ। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবির নেতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নবনির্বাচিত ভিপি মো. ইব্রাহিম হোসেন রনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে তরুণদের সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ নয়; আমাদের সম্পদ যদি পরিকল্পিতভাবে ব্যবহৃত হয়, এই দেশও একদিন প্রথম বিশ্বের কাতারে পৌঁছাবে। তরুণদের মেধা, মনন ও সততার সমন্বয়ে গড়ে উঠলে তারাই হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তি।”

তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীকে গড়তে হলে আগে নিজেকে গড়তে হবে”—এই নীতিবাক্য ধারণ করে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে জ্ঞান, দক্ষতা ও চরিত্রে উন্নত মানুষ হয়ে উঠতে হবে।

প্রধান বক্তা চাকসু ভিপি মো. ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বাংলাদেশে সৎ, দক্ষ ও আদর্শ নেতৃত্বের ঘাটতির কারণেই প্রচুর সম্পদ থাকা সত্ত্বেও আমরা উন্নত বিশ্বের কাতারে যেতে পারিনি। সরকার বদলেছে, কিন্তু জনগণের ভাগ্য বদলায়নি।”

তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামী ছাত্রশিবির সেই ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে আদর্শ নেতৃত্ব তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা কোনো মাস্টারমাইন্ডের অপেক্ষা না করেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। শিক্ষার্থীরাই আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গঠনে নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে।”

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কলেজ শাখা সভাপতি মো. রাশেদুল ইসলাম ও সঞ্চালনা করেন কলেজ শাখার সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক চেয়ারম্যান আ. স. ম. শাহরিয়ার চৌধুরী, কুতুবদিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এম. এ. মান্নান, জেলা শিবির সভাপতি আবদুর রহিম নূরী, উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম, লেখক ও কলামিস্ট আলী ওসমান শেফায়েতসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।