৭৮, কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তন করে নুরুল ইসলাম আনছার প্রামানিককে প্রার্থী করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ৫ নভেম্বর বিকেলে কুমারখালী হলবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী জানায় কুমারখালী-খোকসা আসনের তৃণমূল বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিলাইদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী নেওয়াজ টুটুল। এ সময় পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আলম টমে, চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী মোমেনুল হক পলাশ, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিম, নন্দলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকশত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা আলী নেওয়াজ জানান, দেশের বর্তমান জটিল, উত্তেজনাপূর্ণ ও বিপজ্জনক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কুষ্টিয়া-৪ আসন সম্পর্কে জানাতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের কাছে তুলে ধরতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
তিনি জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন খোকসা-কুমারখালী আসনের সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমিকে বিএনপির ধানের শীষের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিগত ১৭ বছর মেহেদী আহমেদ রুমী মাঠে ছিলেন না। মানুষের কাছে মেহেদী আহমেদ রুমী একজন গণবিচ্ছিন্ন নেতা। গত ৫ আগস্টের পর তিনি হঠাৎ করেই উদয় হয়ে কোন কারিশমায় মনোনয়ন নিয়ে আসলেন আমাদের জানা নাই? তবে বিগত ১৭ বছরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক জুলুম, নির্যাতন, হামলা-মামলা নিয়ে দলীয় নেতা কর্মী ও মানুষের উপকার করেছেন। তিনি বারবার নির্বাচিত সফল মেয়র।
লিখিত বক্তব্যে আরো জানানো হয়, ভোটের সমীকরণে কুমারখালী উপজেলায় প্রায় দুই লাখ ৯৮ হাজার ভোট এবং খোকসা উপজেলায় প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার ভোট। কুমারখালীতে দ্বিগুনের বেশি ভোট সত্বেও কুমারখালী উপজেলার জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতি লক্ষ না রেখে প্রতিবারই খোকসা উপজেলা হতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়। সুতরাং আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে এই আসনে বিএনপিকে জয়লাভ করানো সম্ভব নয়।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আলম টমে বলেন, জনগণের আশা এবং তৃণমুল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা মূল্যায়ন না করে মেহেদী রুমীকে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সকলেই। মনোনয়ন পরিবর্তন করে আনছারকে না দিলে এই আসনে বিএনপির ভরাডুবির শঙ্কা রয়েছে। সে জন্য ৩ নভেম্বর মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে কয়েকশত তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কুমারখালী হলবাজার, গণমোড়, থানামোড়, স্টেশন বাজার প্রদক্ষিণ করে কুষ্টিয়া- রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী গোলচত্বর এলাকায় সড়ক আটকে অবরোধ করেন। এতে সাময়িক ভোগান্তিতে পড়েন সাধাররণ জনগণ। এর আগে দিনব্যাপী মতবিনিময় সভায় অংশ নেয় নেতারা।