বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোবারক হোসাইন বলেছেন, আপনারা যদি আমাকে সংসদে পাঠান আমি ঢাকা-১৩(মোহাম্মদপুর, শেরেবাংলানগর, আদাবর) কে চাঁদাবাজমুক্ত, মাদকমুক্ত ও ছিনতাইমুক্ত আদর্শ এলাকায় পরিণত করতে চাই। এখানে মানুষের কল্যাণে, শান্তিতে বসবাস করার জন্য সকল চেষ্টা অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ। তিনি দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সারাদেশে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি ২২ নভেম্বর (শনিবার) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরেবাংলা নগর উত্তর থানা কর্তৃক আয়োজিত আগারগাঁও একটি মিলনায়তনে বিশিষ্ট জনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ঢাকা-১৩ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও শেরেবাংলা নগর থানা উত্তর আমীর আব্দুল আউয়াল আজমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক ডা. শফিউর রহমান, মোহাম্মদপুর জোনের টিম সদস্য আজহার মুন্সি, থানা জামায়াতের নায়েবে আমীর শাহ আজিজুর রহমান তরুণ, থানা অর্থ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল হালিম, থানা অফিস সম্পাদক এডভোকেট তৌহিদুর রহমান, এইচ আর ডি সম্পাদক হুমায়ুন কবির, থানা ওলামা বিভাগের সভাপতি ও কর্মপরিষদ সদস্য এস এম সাইফুল আলম, থানা কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ শাহজাহান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার খান সুজন, যুববিভাগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান সহ অনন্য নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা-১৩ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও শেরেবাংলা নগর থানা উত্তর থানা আমীর আব্দুল আউয়াল আজম বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিগত দিনে ২৮ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন সমাজকল্যাণ মুলক কাজে আপনাদের পাশে থেকেছে। অতিতের জুলুম, মামলা আমাদেরকে এসব কাজ থেকে বিরত রাখিনি। আগামীতে আমাদের সকল ভালো কাজে আপনাদের সহযোগিতা, পরামর্শ আমাদের এই কাজকে আরও প্রেরণা জোগাবে। আমরা একটা ন্যায় ইনসাফের জনপদ গঠন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
মোবারক হোসাইন আরও বলেন, দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বশেষে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। মূলত, কল্যাণ রাষ্ট্রের অনুপস্থিতিই মানুষের সকল প্রকার দুঃখ-দুর্দশার কারণ। আর অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তাই অধিকারহারা মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে দেশকে আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিনি ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকলকে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।