ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের পর প্রায় নয় মাস চলে যাচ্ছে। এখনো সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে আছে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলা। ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এদিকে অধীর আগ্রহে জামায়াতের নেতাকর্মীরা অপেক্ষা করছে। তাদের প্রত্যাশা শীগ্রই জামায়াত ফিরে পাবে নিবন্ধন এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতীক। কিন্তু আর কত অপেক্ষা করতে হবে? এ প্রশ্ন সবার মাঝে।

নিবন্ধন মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এ মামলার বেশকিছু শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। আর অল্প কিছু শুনানির পর রায় পাওয়া যাবে। এ শুনানি এ মাসের সম্পন্ন হতে পারে বলে তারা আশা প্রকাশ করছেন।

সূত্রমতে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এরপর ২০১৮ সালে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক বাতিল করে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। অপরদিকে জামায়াতকে ‘দাঁড়ি পাল্লা’ প্রতীক না দেয়ার বিষয়েও একটি মতামত দেয়া আছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও এখনো নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পায়নি জামায়াতে ইসলামী। নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনি লড়াইয়ের অপেক্ষায় তারা। নিয়মানুযায়ী আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) এলে মামলাটির শুনানি হবে বলে আশা করছেন আইনজীবীরা।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, ইসির কর্মকর্তারা বলছেন যেহেতু হাই কোর্টের নির্দেশে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, সেহেতু আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আবার তারা নিবন্ধন ফিরে পেতে পারে। আদালতের আদেশ পাওয়ার পরই জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়া হবে।

এদিকে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের রায়ে দলীয় নিবন্ধন পাওয়ার পরই একই প্রক্রিয়ায় দলের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে পারেন। আর নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যে সব যুক্তি তুলে ধরা হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছে জামায়াতের আইনজীবী প্যানেল। চলতি মাসেই নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলার শুনানি সম্পন্ন হবে। আগামী ৬ মে এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের বিষয়ে শুনানি হবে। তারপরে যে কোন দিন নিবন্ধন মামলার শুনানির জন্য উদ্যোগ নেবে আইনজীবীরা। আদালত অনুমতি দিলে নিবন্ধনের মামলার শুনানিও সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আইনজীবীগণ।

গত বছরের ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াই করার পথ উন্মুক্ত হয়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

নিবন্ধন ফিরে পেতে যেসব আইনি যুক্তি

জামায়াতের আইনজীবীগণ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে এই বলে যে, সংবিধানের সঙ্গে জামায়াতের গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক এবং গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ- ১৯৭২ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, গণতান্ত্রিক ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী অতীতে সবগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। প্রায় সব জাতীয় সংসদেই জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব ছিল। জামায়াতের গঠনতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনোভাবেই অসাংবিধানিক নয়। কারণ, অ্যাসোসিয়েশন করার অধিকার বা দল গঠন করার অধিকার সব ব্যক্তিরই আছে।

দ্বিতীয়ত, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে এমন একজন ব্যক্তির (সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, যার দলের গঠনতন্ত্র যদি বিশ্লেষণ করেন তাহলে দেখবেন জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র তিনি যে কারণে ‘দূষিত’ বলছেন, তার থেকে তার দলের গঠনতন্ত্র অনেক বেশি দূষিত। তার দল অর্থাৎ তরিকত ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তারা আসলে কোনোভাবেই তাদের জায়গা থেকে জামায়াতের গঠনতন্ত্র চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার রাখেন না। কারণ, তিনজন বিচারপতির মধ্যে একজন বিচারপতি রায়ে উল্লেখ করেছেন, রিটকারী সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর এ ধরনের রিট করার লোকাস স্ট্যান্ডি (আবেদনের এখতিয়ার) নেই। তিনি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে কথা বলতে পারেন না। কারণ, তার নিজ দলের গঠনতন্ত্র ত্রুটিতে পরিপূর্ণ।

তৃতীয়ত, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন দিয়ে গঠনতন্ত্রের কিছু জায়গায় সংশোধন করতে বলেছে। সংশোধন প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় নিবন্ধন বাতিলের রায় হয়েছে। তাহলে তো দলটিকে গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে দেওয়া হলো না। বরং নির্বাচন কমিশনের কাজের মধ্যে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে কমিশনের কাজকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে।

চতুর্থত, ১৯৯২ সালের আইনে বলা হয়েছে, যখন সংবিধান কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে অধিকার দেওয়া হয় এবং তার সঙ্গে রেস্ট্রিকশন (বিধিনিষেধ) দেওয়া হয় তাহলে সংবিধান কর্তৃক যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেটি বাধাগ্রস্ত হবে। সংবিধানে বলা হয়েছে, সংগঠন করা, দল গঠন করাÑ সাংবিধানিক অধিকার। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে কোনো এক জায়গায় যদি রেস্ট্রিকশন থেকে থাকে, সেই রেস্ট্রিকশন অবশ্যই স্ট্রিকলি (কঠোরভাবে) দেখার সুযোগ নেই।

পঞ্চমত, এটা একটা সার্টিফায়েড আপিল। সার্টিফায়েড আপিল মানে হলো, হাইকোর্ট ডিভিশন যখন মামলাটা নিষ্পত্তি করেছে, তখন হাইকোর্ট ডিভিশন নিজেই সার্টিফিকেট দিয়ে বলেছেন, এ মামলায় সংবিধানের জটিল ব্যাখ্যা জড়িত। জটিল ব্যাখ্যা জড়িত হওয়ার কারণে সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি আপিল হবে। লিভ টু আপিল হওয়ার সুযোগ নেই। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে হাইকোর্ট ডিভিশন স্বীকার করেছেন মামলাটি হলো এমন এক মামলা যে মামলায় সংবিধানের বিস্তর ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন আছে। অর্থাৎ হাইকোর্ট নিজেই স্বীকার করেছেন যে, এটা সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সেটেলড (নিষ্পত্তি) হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু যেহেতু পূর্ণাঙ্গভাবে সেটেলড হয়নি; কারও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিতে হলে এভাবে তো কেড়ে নেওয়া যায় না।

দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লার পক্ষে যেসব যুক্তি

জামায়াতের দলীয় নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে কয়েকটি যুক্তি তুলে ধরেন দলটির আইনজীবীরা। এ বিষয়ে জামায়াতের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, কোনো প্রতীক সুপ্রিম কোর্ট বরাদ্দ দিতে পারেন না। প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি দলকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে নয়, কয়েক যুগ থেকে জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা। জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত দাঁড়িপাল্লাই দলটির প্রতীক। এ প্রতীক এখন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যদি আমাদের আপিল অ্যালাউ (অনুমোদিত) হয়, আপিল বিভাগ আপিল অ্যালাউ করেন, তাহলে নিশ্চয়ই প্রতীকসহ অ্যালাউ করবেন।’

একটি কথা বলা হয়, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বরাদ্দ না দিতে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভার একটি রেজুলেশন আছে। রেজুলেশনের কপি আমরা সংগ্রহ করেছি। পড়ে দেখেছি, রেজুলেশনের মধ্যে যা আছে সেটা কোনো বিচারিক সিদ্ধান্ত না। সেটা হলো প্রশাসনিক। উনারা বলছেন, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ সমীচীন নয়। কেন সমীচীন নয়, কারণ সুপ্রিম কোর্টের সামনে দাঁড়িপাল্লা ঝুলানো আছে। এ কারণে কোনো পার্টির ব্যবহার করাটা সমীচীন নয়। এটা একটা মতামত মাত্র। এর আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এটা সুপ্রিম কোর্টের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। হাইকোর্ট বিভাগও প্রতীকের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।

নিবন্ধন ও প্রতীক নিয়ে জামায়াতের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, নিবন্ধনের বিষয়ে শুনানি অর্ধেক হয়ে গেছে। আশা করছি বাকি শুনানিও হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। একজন বিচারক আদালতে আসতে পারেননি। আশা করি এটার শুনানি হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়ার পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। রিটে তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানান। রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।

এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ (বি) (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নবেম্বরে দুবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নবেম্বরে দুবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করাসহ বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়।

পরে ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আবেদনকারীরা এ রুল শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠনে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ মার্চ আবেদনটি বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। ১০ মার্চ সাংবিধানিক ও আইনের প্রশ্ন জড়িত থাকায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন দ্বৈত বেঞ্চ। ওইদিন প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন।

২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হলে যে কোনো দিন রায় দেবেন বলে জানিয়ে অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। পরে জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ।

সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন। তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নবেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে।

আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিলকারীর পক্ষে সেদিন কোনো আইনজীবী না থাকায় আপিল বিভাগ ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) দেন। পরে দেরি মার্জনা করে আপিল ও লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর (রিস্টোর) করে আদেশ দেন। এরপর জামায়াতের আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। গত ৩ ডিসেম্বর শুনানি শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৪ জানুয়ারি শুনানি হয়। তারপর ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি কার্যতালিকায় আসলেও শুনানি হয়নি।