জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশী নাগরিকদের নির্বিচারে গুলী করে হত্যা করে। বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার হরণ করে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখছি, ভারতে যারা মুসলিম রয়েছেন তাদেরকে অবৈধ অভিবাসী বলে বাংলাদেশে পুশ ইন করার চেষ্টা করা হয়। আমরা হুশিয়ার করে বলতে চাই, এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্রজনতার বাংলাদেশ। বাংলাদেশপন্থীদের হাতেই বাংলাদেশ চলবে।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে বারটায় ঠাকুরগাঁও শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গোল চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ঠাকুরগাঁওসহ সীমান্ত এলাকায় হত্যাকাণ্ড একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সীমান্ত হত্যা আমরা বন্ধ করব। ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরাঞ্চলে যেসব অবহেলিত জেলা রয়েছে, এসব জেলায় কোন প্রকার আঞ্চলিক বৈষম্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, তথ্য-প্রযুক্তি এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রয়োজন, এ উন্নয়ন শুধু ঢাকার উন্নয়ন হবে না। বরং ঠাকুরগাঁওসহ প্রান্তিক সকল জেলার উন্নয়ন যেদিন হবে, সেদিনই আমরা প্রকৃত উন্নয়ন হিসাবে এটাকে গ্রহণ করব। এনসিপির প্রতি ঠাকুরগাঁওবাসীর সমর্থন কামনা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনাদের কাছে আসতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। আমরা সবাই কৃষকের সন্তান, ফলে এই কৃষকের মাটি ঠাকুরগাঁও থেকেই আমরা আমাদের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলছি। আপনাদের সহযোগিতা, সমর্থন কামনা করছি। ইন্শাআল্লাহ, আগামী দিনগুলোতে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার উন্নয়ন, মর্যাদার ঠাকুরগাঁওসহ একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, সদস্য সচিব আকতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ্, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. তাসনিম যারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, যুগ্ম-মুখ্য সমন্বয়ক গোলাম মোর্তুজা সেলিমসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ঠাকুরগাঁওয়ে পথসভা ও পদযাত্রা শেষে, জেলার পীরগঞ্জ উপজলায় পথসভা করেন এনসিপি নেতারা।