সিরাজগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গত পতিত হাসিনা সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে জুলাই আগস্টে যে গণহত্যা করেছে তার বিচার হতেই হবে। অবিলম্বে গণহত্যাকারীদের বিচার করে ফাঁসি দিতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের খুঁজে বের করে তাদের বিচার করতে হবে। যারা জনগণের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে তাদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে। প্রধান অতিথি রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন, জাতীয় সরকারের আগে অবিলম্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। একটি দল আমাদের সাথে এই দাবিতে ৫ আগস্টের আগেও একসাথে আন্দোলন করতো। এখন তারা উল্টো বলছে। যারা চাঁদাবাজি করেন, তারা ভিক্ষাবৃত্তির চাইতে নিকৃষ্ট গর্হিত কাজ করছেন। সুতরাং চাঁদাবাজদের প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান তিনি।

রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজের বিকল্প নেই। শান্তির দেশ বিনির্মাণে জামায়াত লড়াই করে যাচ্ছে। তবে একটি দল তারা ইতোমধ্যে চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম শুরু করেছে। চাঁদাবাজির জন্য তরুণেরা রক্ত দেয়নি। চাঁদাবাজি বাদ দেন প্রয়োজনে ভিক্ষা করে খান।

তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালের আমি আর মামুদের ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তারা সর্বপ্রথম যে এজেন্ডা তৈরি করেছিল তা ছিল ইসলামকে নির্মূল করা। তারই অংশ হিসেবে তারা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। ক্রসফায়ারের মাধ্যমে জামায়াত শিবিরের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করে জামায়াতকে শেষ করার চেষ্টা করছিল কিন্ত তারা তাতে সফল হয়নি।

তিনি বলেন, সব দল দেখা শেষ; আগামীতে ইসলামী রাষ্ট্রের বাংলাদেশ। বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের আমীর আরিফুল ইসলাম সোহেলের সভাপতিত্বে ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা শাহিনুর আলম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর বেলকুচি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জননেতা আলী আলম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম।

গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টায় বেলকুচি উপজেলা সদরের আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান আলী, চৌহালী উপজেলা জামায়াতের আমীর ডা. সেলিম রেজা, শাহজাদপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম সেলিমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

কর্মী সম্মেলন যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মাজহারুল ইসলাম ও সহকারী সেক্রেটারি সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রশিদ শামীম। এর আগে সম্মেলন উদ্বোধন করেন জুলাই'২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হাফেজ সিয়াম হোসেনের গর্বিত পিতা আব্দুল কুদ্দুস। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বেলকুচির এই মাঠে জামায়াতের বিশাল কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত।