আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছেন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, আমরা অপেক্ষা করছি, সময়ই বলে দেবে আমরা কী সিদ্ধান্ত নেবো। আমাদের এ বিষয়ে বলার সময় এখনো আসেনি। আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে। আরও সময় লাগবে। এ বিষয়ে আমরা এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। সময় আমাদের গাইড করবে আমরা কী করবো।

গতকাল রোরবার নির্বাচন কমিশন ভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার দায় দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ওপরে পড়েছে। শুধু দল হিসেবে নয় একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের নিবন্ধনের বাতিলেরও দাবি তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি বলেন, এ বিষয়ে বলার সময় এখনো আসেনি। আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে। আরও সময় লাগবে। এ বিষয়ে আমরা এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। সময় আমাদের গাইড করবে আমরা কী করবো।

জাতিসংঘের এ ধরনের প্রতিবেদনের পরে আরও কী তদন্ত করার আছে? এ প্রসঙ্গে ইসি বলেন, ইনকোয়ারির কথা আমি বলিনি। আমরা অপেক্ষা করছি, সময়ই বলে দেবে আমরা কী সিদ্ধান্ত নেবো।

ডিসি সম্মেলনে ইসিকে আলাদাভাবে ডাকা হয়েছে। আপনাদের বার্তা কী থাকবে সম্মেলনে। এ প্রসঙ্গে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলন প্রতি বছরের মতো এবারও হচ্ছে। আমরা দাওয়াত পেয়েছি। আগামী ১৮ তারিখ সন্ধ্যায় আমাদের বৈঠক হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় কমিটির সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে আলোচনা হয়। এবারও নির্বাচন কমিশনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। আমাদের বার্তা থাকবে, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি। কারণ আমাদের একটা উত্তম নির্বাচন করতে হবে। সেই ম্যাসেস সবাইকে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

মাঠ কমিশন নির্বাচন কমিশনের কথা শোনে না? এ প্রসঙ্গে ইসি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করবেন এরইমধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট কিন্তু মাঠ প্রশাসন দিয়ে হয়েছে। ভোট কিন্তু ভালো হয়েছে। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভেতর থেকে ইসিকে কোনো প্রেসার দেওয়া হয় না এবারও থাকবে না। তাই ভোটও সুষ্ঠু হবে। কমিশন বিশ্বাস করে এবার খারাপ কোনো উদাহরণ হবে না। একটা উত্তম নির্বাচন এবার হবে।

নিরপেক্ষ ডিসি প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচনী কাজে সবাই সহযোগিতা করবে। ভোটে ডিসিরা সহযোগিতা করবে। কারণ ইসি কঠোরভাবে সব কিছু মনিটরিং করবে।