জামায়াতে ইসলামী এদেশে বৈষম্যহীন, ইনসাফপূর্ণ ও সুখী সমৃদ্ধ একটি সুন্দর শান্তির সমাজ কায়েম করতে আপোষহীন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন।
আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষের অংশ হিসাবে রাজধানীর মগবাজার, দিলু রোড, বাংলামোটর, মধুবাগ এলাকায় হাতিরঝিল থানা জামায়াত আয়োজিত গণসংযোগ ও পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আমীর ইউসুফ আলী মোল্লা এবং হাতিরঝিল পূর্ব সেক্রেটারি খন্দকার রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে পৃথক পথ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম থানা নায়েবে আমীর নূরুল ইসলাম আকন্দ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য গোলাম মাওলা, আকতার হোসেন, শামীম হোসাইন ও হাবিবুর রহমান মজুমদার, পূর্ব থানা কর্মপরিষদ সদস্য আসগর হোসেন, আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, জামায়াত এদেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক একটি শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। আমরা এমন এক বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই যে সমাজে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের আধিকার নিশ্চিত হবে। দেশে সাংবিধানিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকবে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন হবে রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। মূলত, জামায়াত একটি কল্যাণকামী ও গণমুখী রাজনৈতিক দল। আমরা দেশ ও জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এক্ষেত্রে আমরা কোন বাধা- প্রতিবন্ধকতায় পিছপা হয়নি বরং সবকিছু উপেক্ষা করেই আমাদেরকে সামনে দিকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। আর এভাবেই জামায়াতে ইসলামী এখন গণমানুষের প্রাণের স্পন্দনে পরিণত হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতেও আপনাদেরকে সাথে নিয়ে একটা সুখী, সমৃদ্ধশালী, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। তিনি সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, জামায়াত কোন গতানুগতিক বা প্রচলিত রাজনৈতিক দল নয় বরং আমরা গণমানুষের মুক্তির জন্য নিরলস সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়াও আমাদের উদ্দেশ্য নয় বরং মানুষের আত্মগঠন ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন ও আত্মকর্মসংস্থের জন্যও রয়েছে আমাদের নানাবিধ প্রকল্প। জাতিকে সুশিক্ষিত ও বিশ্বমানের নাগরিক তৈরির জন্য আমরা দেশে প্রভূত সংখ্যক স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি। গণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চত করার জন্য হাসপাতাল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা এমন এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই যে সমাজে মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য ও ভেদাভেদ থাকবে না।
তিনি দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি লাভের জন্য সকলকে জামায়াতে যোগদানের আহবান জানান।