রাজনীতি
গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিলে বক্তারা
আমাদের মধ্যে কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরির চেষ্টা করছে
গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, আমাদের মাঝে কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমরা যদি বলি যে ইফতারের একটি টেবিলে এক সাথে মজা করি, ইনজয় করি। তাহলে একসাথে দেশকে এগিয়ে নিতে সমস্যা কি? বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি অসুবিধাটা কোথায় ?
Printed Edition

গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, আমাদের মাঝে কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমরা যদি বলি যে ইফতারের একটি টেবিলে এক সাথে মজা করি, ইনজয় করি। তাহলে একসাথে দেশকে এগিয়ে নিতে সমস্যা কি? বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি অসুবিধাটা কোথায় ?
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত স্কাইভিউ হোটেলে গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়ার গোলাম পরওয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মিয়া গোলাম পরওয়ার কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে দেশ শাসনের কথা বলেন। এবং পবিত্র মাহে রমযানের মর্যাদা নিয়ে কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের তো কোনো অসুবিধা দেখি না আমি। কৃত্রিমভাবে অসুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিভিন্ন দল একে অপরের দিকে কথা বলছে, কাঁদা ছুড়ছে। এটা ঠিক না, ৫ আগস্টে আমাদের অর্জন নিঃশেষ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আজ ইফতার পার্টিতে যেমন বসেছি, আগামীর সকল কার্যক্রমে, নির্বাচন থেকে শুরু করে সরকার গঠন পর্যন্ত-এক সঙ্গে করতে চাই। দেশকে সুন্দর করতে হবে। হিংসা বিদ্বেষ, ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে বা পরশ্রীকাতর হয়ে কখনোই দেশকে ভালো করা যাবে না। কারো ষড়যন্ত্রের কারণে রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্ট যা অর্জন করেছি তা যেন বৃথা না যায়। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের অনেক অবদান ছিল। নুরুল হক নুরের অবদান ছিল অনেক।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনকল্যাণমুখী সংস্কারের সাথে আমরাও একমত। সংস্কার, আলাপ-আলোচনা, প্রস্তাব চলতে থাকবে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমাদের একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ জন্য আমরা রোডম্যাপ চাই। দেশের জনগণ রোডম্যাপের প্রত্যাশা করে। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। শুধু একটি মাত্র বিষয় আমরা পরিষ্কার হতে চাই। তা হলো- প্রধান উপদেষ্টা খুব শিগগির জনগণের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, স্বৈরাচার পতন পর এই অন্তর্র্বর্তী সরকার এসেছে। তারাও এখন সন্তোষজনক নয়। তাই বলছি, যতটুকু সংস্কার, শেষ করে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেন।
ইফতার মাহফিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।