রাজনীতি
টিসিবির কার্ড নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে টিসিবির কার্ড ও ভিজিএফএর চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে কয়েকদিনের চলে আসা দ্বন্দ্ব আজ সকালে ভয়াবহ সংঘর্ষে রুপ নিলে রফিকুল ইসলাম রফিক (৫০) নামে এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রফিকুল ইসলাম রফিক তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এ সময় সংঘর্ষে আরো দুজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে রফিকের ভাই শফিকের অবস্থা গুরুতর।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে টিসিবির কার্ড ও ভিজিএফএর চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে কয়েকদিনের চলে আসা দ্বন্দ্ব আজ সকালে ভয়াবহ সংঘর্ষে রুপ নিলে রফিকুল ইসলাম রফিক (৫০) নামে এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রফিকুল ইসলাম রফিক তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এ সময় সংঘর্ষে আরো দুজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে রফিকের ভাই শফিকের অবস্থা গুরুতর।
শনিবার ( ৮ মার্চ ) বেলা সারে ১১টার দিকে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সামনের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিসিবির কার্ড বিতরণ নিয়ে পূর্ববিরোধ ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিনামূল্যে সরকারিভাবে ১০ কেজি ভিজিএফএর চাল বিতরণের বিষয় নিয়ে তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটনের লোকজনের সঙ্গে রফিকুল ইসলাম রফিকের বাকবিতন্ডা হয়। এতে তাদের নির্দেশে তাদের সমর্থকরা রফিককে মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকরা রফিকের শরীরের বিভিন্ন অংশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করলে ঘটনাস্থলেই সে প্রাণ হারায়।
জানাগেছে, কয়েকদিন আগে তিতুদহ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক সাগর এবং ওয়ার্ডের সদস্য কামালের সঙ্গে টিবিসির কার্ড বিতরণ নিয়ে ঝামেলা বাধে নিহত বিএনপি নেতা রফিকের। সেই সূত্র ধরে আজ শনিবার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের বিনামূল্যে চাল বিতরণ নিয়েও ঝামেলা বাধলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাগর ও কামালের পক্ষ নিয়ে রফিকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে রফিক নিজ দলের কর্মীদের হাতে প্রাণ হারায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সদর ইউএনও এবং একজন অতিরীক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।