ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে পুরনো বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে নতুন বন্দোবস্তের লড়াই। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, পেশিশক্তি নির্ভর অসুস্থ্য রাজনীতির বিরুদ্ধে জনসেবা, দেশপ্রেম ও সততার লড়াই। এই লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে। না হয় জুলাইয়ের জীবন উৎসর্গকারী শহীদ ও আহতদের রক্ত আমাদের অভিশাপ দেবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের মানুষ ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সর্বত্র আজ ইসলামকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চাওয়া মানুষের উপস্থিতি। এই বাস্তবতায় দেশের সকল ইসলামপন্থী শক্তি একত্রে একবাক্স নীতি গ্রহণ করেছে যাতে ইসলাম-মনস্ক মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত না হয়। ইসলামপন্থার এই ঐক্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কালোটাকা ও পেশিশক্তির বিরুদ্ধে সততা, জনসেবা ও সাংগঠনিক শক্তি দিয়ে আগামী নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো; বিজয় আল্লাহর পক্ষ থেকে আসবে;ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফলেই ফ্যাসিবাদ উৎখাত হয়েছে, আজকের এই নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। সেই জুলাইয়ের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে কোন কোন দলের অনিহার কারণ আমরা বুঝতে পারি না। জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দেয়ার জন্য আমরা তফসিলের আগেই গণভোট আয়োজন করার কথা বলেছি। জুলাইয়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্বৈরতন্ত্রকে স্থায়ী বিলোপের জন্য পিআর পদ্ধতির কথা বলে যাচ্ছি। আমাদের দাবীর মধ্যে কোন স্বার্থ নাই। আমাদের লক্ষ্য, দেশে যেনো আর কোন দিন কোন স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা। আমি বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানাবো; আসুন, আলোচনার মধ্যে দিয়ে সকল বিভেদ দুর করে একটি আনন্দমূখর শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করি।
আজ ৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার সকাল থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংসদ সদস্য প্রার্থীদের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পীর সাহেব চরমোনাই।
দিনব্যাপী কর্মশালা নির্বাচনী নানা কৌশল ও সম্ভব্য সমস্যা নিয়ে কৌশলগত আলোচনা হয়। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ্ আল ফরিদি, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম প্রমূখ।