জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে এনসিপি কোনো টালবাহানা মেনে নেবে না। বাস্তবসম্মতভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আজ বুধবার (২ জুলাই) ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে কুড়িগ্রামের পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের নতুন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন করতে পারিনি।
কুড়িগ্রাম সম্পর্কে নাহিদ বলেন, বৈষম্য অবহেলা দুর্দশা এবং বঞ্চনার আরেক নাম হচ্ছে কুড়িগ্রাম। কুড়িগ্রামের প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দাবি করতে পারি না। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেই মাফিয়াতন্ত্র, সেই সন্ত্রাস, সেই দখলদারিত্ব কিন্তু রয়েই গেছে। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। এই পার্টিতে আপনাদের সমর্থন চাই।
নাহিদ বলেন, ভারতের দালালি ও গোলামির দিন শেষ—এটাই আগামীর বাংলাদেশ। আমাদের স্বাধীনতা, দেশ, মর্যাদার বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, নিজেদের দেশপ্রেমের জায়গা ও দায়িত্ববোধ থেকে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম। আমরা কখনও ক্ষমতার মসনদে বসতে চাইনি। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে দল গঠন করেছি। কারণ বিকল্প ও তরুণ নেতৃত্ব ছাড়া এই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে না, গণঅভ্যুত্থান সফল হবে না।

এর আগে পথসভায় তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য হতে দেওয়া হবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি।
অন্যদিকে, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টের পুনরাবৃত্তি হলে ৫আগস্টেরও পুনরাবৃত্তি হবে।
পদযাত্রায় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক কৌলাশ চন্দ্র রবিদাস, ড. আতিক মুজাহিদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসানাত আবদুল্লাহসহ কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন। পথসভা সঞ্চালনা করেন দলের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
উল্লেখ্য, আজ সকাল থেকে কুড়িগ্রাম উপজেলার গাড়িবহর নিয়ে নেতাকর্মীরা জনসংযোগে বের হয়েছেন। পথে পথে তাদের স্বাগত জানাচ্ছেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।