দেশের বিভিন্নস্থানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের কর্মীদের হয়রানীর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দিকা।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের নেতা কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারের কাজে বাধা দেয়ার উদ্দেশ্যে হামলা ও হয়রানী করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়-
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের উত্তর দেওটি মাঈন উদ্দিন ব্যাপারি বাড়িতে জামায়াতের মহিলা শাখার আমেরিকান প্রবাসী আবদুল ওয়াদুদের ঘরের উঠানে কুরআন তালিমের আয়োজন করা হয়। বিকালে প্রোগ্রাম শুরুর আগ মুহূর্তে সেখানে স্বেচ্ছাসেবক দলের দেওটি ইউনিয়ন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রবিন, শাহ আলম ও লিটনসহ কয়েকজন মিলে তাদের অনুমতি না নিয়ে এই প্রোগ্রাম আয়োজন করার বিষয়ে জানতে চেয়ে জামায়াতের মহিলা নেত্রীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করে সভা পণ্ড করা হয়। ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
একইভাবে (২৮, অক্টোবর, মঙ্গলবার )নওগাঁ সদর উপজেলায়,বোয়ালিয়া মাদ্রাসা মাঠে জামায়াতে ইসলামীর পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনী উঠোন বৈঠকে বাধা দেওয়া হয়। গত ২০ অক্টোবর ফেনীর সদরের ফাজিলপুরে মহিলা জামায়াতের কুরআন তালিমের প্রোগ্রামে বাধা, গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুরে বাধা দেওয়া ,নোয়াখালী-৪ (সদর সুবর্ণচর) আসনে বৈঠক চলাকাল বাধা সৃষ্টি করা হয়।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এসব ঘটানায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি এধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ নতুন স্বৈরাচারের উথান ঘটাবে।যা মোটেই কাম্য নয়।পরিবেশের সৌন্দর্য হলো প্রত্যেকের নিজ নিজ মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দীর্ঘ সময়ে বিরোধী মতের কেউই নিজেদের স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারেনি । বরং বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী সকল দলের নেতাকর্মীদের সবসময় জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুথানের পর আমরা সেই নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ের জগদ্দল পাথর থেকে মুক্ত হয়েছি।
কিন্তু উদ্বেগের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু রাজনৈতিক উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করছে।এটা গণতন্ত্রিক মনোভাবের প্রতি শত্রুতা। ভিন্নমতের সহাবস্থানকে তারা মেনে নিতে পারছেনা। দলীয় জনবল নিয়ে পেশীশক্তির ব্যাবহার স্বৈরাচারের পদধ্বনি । দেশের বিভিন্নস্থানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের নেতাকর্মীদের ওপর হয়রানী করা, তাদের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে তারা নারীদের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করছে। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা কামনা করছি। সেইসাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নিজ দলের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন আশা করছি; একই সাথে দেশের সকল গণতান্ত্রিক মুক্তমনা মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।