ব্যারিস্টার আফরোজা ফিরোজ মিতা। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। তার জন্ম মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের ইদ্র্রাকপুর গ্রামে। তিনি আইন পেশার পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি ঢাকা মহানগর জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সুযোগ পেলেই এলাকার উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করে থাকেন। অসহায় মানুষকে দেন আইনী সেবা। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ- ৩ সদর থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী।

রাজনীতিতে আসা প্রসঙ্গে দৈনিক সংগ্রামের সাথে আলাপকালে ব্যারিস্টার আফরোজা ফিরোজ মিতা জানান, ‘আমি আসলে রাজনীতিক পরিবারে বড় হয়েছি। ছোটবেলা থেকেই আব্বাকে দেখতাম (এডভোকেট এবিএম ফিরোজ) রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তখন থেকেই রাজনীতির প্রতি টান অনুভব করি। আমরা ছোটবেলাতে দেখতাম বাবা কিভাবে মানুষের উপকার করতেন। তিনিও ল’ইয়ার ছিলেন। ৩৫ বছর রেডক্রিসেন্টের সেক্রেটারি ছিলেন। সেখান থেকে দেখেছি বাবার মানুষকে সহায়তা করার মানসিকতা। তখন থেকেই মানুষের সেবা করার ইচ্ছা লালন করি। পড়াশোনা শেষ করে যখন কোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করি তখন থেকে জাতীয়তাবাদী ফোরামেই ছিলাম। অর্থাৎ পেশাগত দায়িত্ব পালনের শুরুটাই জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকেই। আমি পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাজনীতি শুরু করি।

ব্যারিস্টার আফরোজা ফিরোজ মিতা আরও জানান ‘আমার আইন পেশাটা শুরু বিএনপির চেম্বার থেকে। ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল স্যার। তিনি আইন অঙ্গনে বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তো ওনার সাথেই আমরা পথচলা।’

ব্যারিস্টার আফরোজা ফিরোজ মিতা বলেন, ‘আমার এলাকা যেহেতু মুন্সিগঞ্জ সেইসাথে আমার বাবা বিএনপির একজন অবিভাবক ছিলেন, বিএনপির পিপি ছিলেন। জেলা বারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, ওই হিসেব যখন দলের লোকজন আসতো, তাদের সেভাবে সহায়তা করতাম।’

শিক্ষানুরাগী ব্যারিস্টার আফরোজা ফিরোজ মিতা বলেন, ‘আমাদের সহায়তায় গ্রামে একটি স্কুল গড়ে ওঠেছে। ওই স্কুলটা আমি চালাই। শিক্ষামূলক কোন অনুষ্ঠান হলেই আমি সেখানে থাকতাম। এভাবেই শিক্ষাকে সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস চালাই।’

নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে ব্যারিস্টার আফরোজা ফিরোজ মিতার ভাবনা হলো--- আমাদের সমাজটাই এরকম যে নারীকে পিছিয়ে রাখা হয়। ছেলেরা করতে পারবে নানাদিক থেকে। মেয়েরা পারবে না। আমার সব সময় চিন্তায় থাকে একটা কথা, ছেলে আর মেয়ে বলতে কিছু নাই। যে কাজটা ছেলে করতে পারে মেয়ে হিসেবে যোগ্যাতা থাকলে আমিও তা করতে পারবো। আমার যদি করার যোগ্যতা থাকে। তাহলে পিছিয়ে থাকার কোন কারণ নাই। আমি সেটাই মনে করি। রাষ্ট্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আমি যোগ্যতায় বিশ্বাসী।

মানুষকে আইনগত সহায়তা দিয়ে থাকেন ব্যারিস্টার আফরোজা ফিরোজ মিতা। তিনি বলেন, আমি লিগ্যাল এইডে আছি। সারাদেশ থেকে আইনী সহায়তার জন্য আসে। সেই সেবাটা আমরা বিনামূল্যে দিয়ে থাকি। আমি খুব আন্তরিকতার সাথেই কাজটা করে থাকি। এমনিতেই মানসিকভাবেই আমি চেষ্টা করি যে ১০টা মামলা করলে ২টা মামলা ফ্রি করবো। এটা আমার মাথায় সব সময় কাজ করে। আর আমি খুব চেষ্টা করি আমাদের মুন্সিগঞ্জ থেকে যে মামলাগুলো আসে হাইকোর্টে সেগুলো বিনা পারিশ্রমিকে করার চেষ্টা করি।

এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন, ব্যারিস্টার আফরোজা ফিরোজ মিতা : যেমন কিছুদিন আগেও এলাকাতে গেলাম। সেখানে ড্যাব থেকে একটা প্রোগ্রাম করেছিল ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা। মুন্সিগঞ্জে আমার একটা সংস্থা আছে ব্যতিক্রম নামে। ব্যতিক্রম এবং ড্যাব মিলে সে প্রোগ্রামটা করা হয়। শতাধিক ানুষকে ্আমরা ফ্রি সার্ভিস দিয়েছিলাম। ডক্টর ছিলো ৫/৬জন। তারা দেখে প্রাথমিকভাবে ওষুধ দেওয়া থেকে শুরু করে পরামর্শ সবই করেছেন তারা। ‘আমার কাছে পলিটিক্সটা হচ্ছে একটা সেবা। মানে মানব সেবা। যেহেতু আমি মুন্সিগঞ্জের মেয়ে। মুন্সিগঞ্জেই বেড়ে ওঠা। তাই মুন্সিগঞ্জের প্রতি আলাদা একটা ভালবাসা আছে। আমি সব সময় চাই যেকোন উপায়ে মুন্সিগঞ্জের কোন উন্নয়ন করা যায় কি-না। এজন্য পলিটিক্সটা হচ্ছে বেস্ট অপশন। পলিটিক্সে থেকে কিন্তু নানাভাবে এলাকার মানুষে সেবা করা যায়। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। আল্লাহ যদি কোনদিন সুযোগ দেন। আমি চাই মুন্সিগঞ্জের প্রতিটি মানুষ ভাল থাকুন ব্যক্তিগতভাবে সবকিছু নিয়ে। আমি পৌঁছাতে চাই প্রতিটি মানুষের কাছে।