জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরের শুরুতেই নিউইয়র্কে উত্তেজনা দেখা দেয় প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে।
নিউইয়র্কে পৌঁছানোর পর থেকেই বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের প্রবাসী সংগঠনগুলো মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে।
রোববার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এক স্বাগত মিছিল ও সমাবেশ করে। একই স্থানে ড. ইউনূসের আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগও।
নিউইয়র্কে বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পরপরই বিএনপি ও এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বিশেষ করে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয় এবং তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হামলার সময় মির্জা ফখরুল, আখতার হোসেন ও তাসনিম জারা আলাদা হয়ে হাঁটছিলেন।
এ সময় জামায়াতের কর্মীরা অনুরোধ করলেও তারা একত্রে চলেননি। ফলে সুযোগ পেয়ে আওয়ামী লীগের একদল কর্মী মির্জা ফখরুল ও আখতারকে হেনস্তা করে।
অন্য দিকে, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. তাহেরকে চারপাশ ঘিরে ঘন নিরাপত্তা দিয়ে সুরক্ষিতভাবে গাড়িতে তুলে দেন জামায়াত কর্মীরা।
ফেসবুকসহ সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, বিমানবন্দরে বিএনপি কিংবা এনসিপির তেমন কোনো কর্মী উপস্থিত ছিল না।
বিপরীতে জামায়াতের কর্মীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয় এবং তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে একদল ডা. তাহের এবং অন্যদল মির্জা ফখরুলদের সহায়তা করছিল।
জামায়াতের কর্মীদের সংগঠিত অবস্থান ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য তুলে ধরেই তাদের প্রশংসা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, তারা ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক আগমনের বিরোধিতা করবে এবং তার হোটেল সামনেও প্রতিদিন বিক্ষোভ চালাবে। সেই অনুযায়ী তারা রোববারের ঘটনার পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়।