আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় কুতুবদিয়া উপজেলার হোটেল সমুদ্র বিলাসের হলরুমে কুতুবদিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনের সাবেক এম.পি ড. এ.এইচ.এম. হামিদুর রহমান আযাদ। মতবিনিময় সভায় ড. হামিদ আযাদ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং কুতুবদিয়া-মহেশখালীর উন্নয়নে তার পরিকল্পনার বিষয়ে জানান।
তিনি বলেন, "কুতুবদিয়ার সমস্যা ও সম্ভাবনার কিছু বিষয় আছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। কুতুবদিয়ার সম্ভাবনা বিবেচনায় আনলে সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা হলো পর্যটন শিল্পের বিকাশ। পর্যটন শিল্প টোটাল কক্সবাজারের জন্যই একটি সম্ভাবনাময় খাত। পৃথিবীর দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের তালিকায় অবস্থানকারী কক্সবাজারের সাথে দেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়ার সমুদ্র সৈকতের সাদৃশ্য রয়েছে। এখানেও সুন্দর পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে পর্যটন খাতের সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে আসা যায়।"
তিনি আরো বলেন, "মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় পর্যটন খাতের যে স্পটগুলো রয়েছে সেগুলোকে আমরা সুপরিকল্পিতভাবে দেশ-বিদেশের কাছে তুলে ধরতে পারলে জিডিপি'তে এই শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সাগরের ঢেও, বাতিঘর, মালেক শাহ হুজুরের দরবার, বায়ুবিদ্যুৎসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট কুতুবদিয়ায় রয়েছে। তবে পর্যটকদের আগ্রহ কুতুবদিয়ার দিকে বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মাত্র দুই বছর কাজ করার পর পরাজিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তী তিন বছর জেল-জুলুমের মাধ্যমে আমাকে কুতুবদিয়া-মহেশখালীবাসীর সেবা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।"
তিনি আরো বলেন, "২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচার মুক্ত হয়ে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছানোর আরেকটি সুযোগ এসেছে তা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। জামায়াতে ইসলামী আমাকে কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করেছে। কুতুবদিয়া-মহেশখালীর উন্নয়নে আমাদের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনা কাজে লাগাতে দাঁড়িপাল্লা মার্কার পক্ষে সাধারণ মানুষের রায় আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।"
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কুতুবদিয়া জামায়াতের আমীর ও সাবেক চেয়ারম্যান আ.স.ম. শাহরিয়ার চৌধুরী। গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক হাসান কুতুবী, যমুনা টেলিভিশনের এহসান কুতুবী, এনটিভির আবুল কাশেম, সি-প্লাস টিভির সুমন। সংবাদকর্মী আনিসুর রহমান হিরু, শাহেদুল ইসলাম মনির, হানিফ কুতুবী প্রমুখ।