ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে এখন একটা এবনরমাল সিচুয়েশন (অস্বাভাবিক অবস্থা) চলছে। অর্থাৎ একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে। দেশে এখন অনেক রকম অসুবিধা আছে। আমাদের ব্যবসায়ীরা যারা এসব কাজে (মসজিদ নির্মাণে) বেশি সহযোগিতা করেন তারা বিভিন্ন রকম অসুবিধার মধ্যে আছেন। এই অসুবিধার মধ্যে একটা বিরাট অর্থ সংগ্রহ করা বেশ কঠিন কাজ হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের (কাচারী জামে মসজিদ) পুননির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের দায়িত্ব আমাকে দেয়াটা আমি খুব ভালভাবে গ্রহণ করিনি। এ জন্যে যে আমি তার উপযুক্ত লোক নই। এই মসজিদের যখন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল তখন আমরা ঠাকুরগাঁও হাইস্কুলে পড়তাম। হাইস্কুল থেকে আমরা ছাত্ররা লাইন ধরে এসে সেই মসজিদের নির্মাণ কাজে অংশ নিয়েছিলাম। ইট, বালু, সিমেন্ট, মসলা বহন করেছিলাম। সেই স্মৃতি আমার সামান্য হলেও মনে আছে। তখন নুরুল হক চৌধুরী, মির্জা রুহুল আমিন (মির্জা ফখরুলের পিতা), মির্জা সাদেকুল ইসলাম, মাওলানা তমিজ উদ্দিনসহ সে সময়ের বিশিষ্টজন যারা আমাদের নেতৃত্ব দিতেন, তারা এই কাজকে ভালোভাবে সম্পন্ন করেছেন। আজকে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি হতাম যদি এলাকার একজন বিশিষ্ট আলেমকে দিয়ে এই কাজের উদ্বোধন করা হতো। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করে যেন এ মসজিদের পুননির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারি, আল্লাহ তায়ালার কাছে সেই প্রার্থনা করি।
তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন খারাপ। ব্যবসায়ীদের অবস্থা এখন আগের মতো নেই। তাই অর্থসংগ্রহ করা বেশ কঠিন কাজ হবে। তারপরও আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো আল্লাহর ঘরের কাজ যেন আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারি।
মসজিদ কমিটিরি সভাপতি মির্জা রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, মসজিদ কমিটিরি সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক চৌধুরী, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. খয়রুল কবির, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোদাচ্ছের হোসেন, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হাফেজ রশিদ আলম, অত্র মসজিদের খতিব মাওলানা খলিলুর রহমানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, মসজিদ কমপ্লেক্সটি প্রাথমিক পর্যায়ে ৬তলা নির্মাণ করা হবে। যার ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ কোটি টাকা।