বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেছেন, মাহে রমযান কুরআন নাজিলের মাস। মানব জাতির হিদায়াতের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এই মাসে কুরআন নাজিল করা হয়। কুরআন পড়ে-বুঝে কুরআনের আলোকে যেন মানুষ দুনিয়াবী জিন্দেগী পরিচালনা করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল করেছেন। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা। এতেই মানবতার মুক্তি ও কল্যাণ। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশে এবারের রমযান ভিন্ন এক পরিবেশে অতিবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘ ১৫ বছর দেশের মুক্তিকামী মানুষ ও ইসলাম প্রিয় জনতা ভয়-ভীতি ও আতঙ্কের মধ্যে রমযান অতিবাহিত করেছিল। নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য যে সকল তরুণ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ তথা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে রুখে দিয়েছে আমরা তাদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রতিদান কামনা করছি। বাংলাদেশ থেকে চিরদিনের জন্য ফ্যাসিবাদ বিলোপ হোক সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। শুক্রবার (২১ মার্চ) খুলনা মহানগরীর ২০ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ফারাজীপাড়া দ্বীনওয়ালী মাদরাসা কমপ্লেক্সে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
২০ নং ওয়ার্ড আমীর ডা. আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এমরান হোসাইনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান ও সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহিদুল ইসলাম। এতে বিশিষ্ট সমাজ সেবক মঞ্জুর কাদের, শ্রমিক নেতা গাজী গোলাম মোস্তফা, জামায়াত নেতা মাওলানা কবির হোসেন, মিলন, সুমন মাঝি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেন, এই রমযান মাসে ফিলিস্তিনে ছোট ছোট শিশু ও সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। এই নির্মমতা আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়, কিন্তু বিশ্ব বিবেক যেন নির্বিকার। দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইল ক্রমাগত ফিলিস্তিনকে কোণঠাসা করছে। যদি এই নিপীড়ন চলতে থাকে, তবে কয়েক দশকের মধ্যেই ফিলিস্তিন বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং ন্যায়সঙ্গত অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ সম্পূর্ণ একটা অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখনো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থায় চলে জাতিসংঘ। এই সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার পতন না হলে সারা বিশ্বের কোনো মানুষ, কোনো অঞ্চল নিরাপদ নয়। সন্ত্রাসী-দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরব লীগ ও ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং শান্তিপ্রিয় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।