ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। তার যথার্থ কারণ আছে। জাতীয় নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পর বিরোধি প্রচারণা চালাবে। তখন জুলাই সনদের পক্ষে প্রচারণা তেমন হবে না। ফলে জুলাই সনদের পক্ষে মতামত সংগ্রহ ঝুঁকিতে পড়বে। আর জুলাই সনদ ঝুঁকিতে পড়লে আমাদের এতো রক্ত-জীবন উৎসর্গ করাটা বিফলে যেতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের এই উদ্বেগ আমলে না নিয়ে যে ঘোষণা দিয়েছেন তা আমরা সন্তুষ্টুচিত্তে মেনে নিতে পারছি না।
আজ ১৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রেক্ষিতে সন্ধ্যা সাতটায় আয়োজিত জরুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অবস্থান ব্যক্ত করেন দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
প্রেসব্রিফিংয়ে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, কেবল অর্থ সাশ্রয়ের জন্য এতো রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই সনদকে ঝুঁকিতে ফেলার কোন কারণ ছিলো না। কিন্তু একটি দলকে সন্তুষ্টু করতে গিয়ে সরকার তাই করলো। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। গণভোট আলাদা করা হলে জুলাই সনদ আরো তাৎপর্যময় হতো।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব বলেন, তথাপিও সরকার প্রধানের আহবানের প্রতি সাড়া দিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে এই বিষয়ে আমরা আরো পর্যালোচনা করবো। আমরা আমাদের কেন্দ্রীয় আমেলায় বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হবে এবং আন্দোলনরত আট দলের সাথেও আলোচনা করা হবে। আজকেই আটদলের সমন্বয় কমিটির বৈঠক আছে। এসব আলোচনার পরে আমাদের চুড়ান্ত মতামত ব্যক্ত করবো।
প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।