৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনীতি নতুন এক ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে-এমন মন্তব্য অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের। ছাত্র রাজনীতিতেও এসেছে সেই পরিবর্তনের ছোঁয়া।
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের প্রায় সব বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এসব নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের শক্ত অবস্থান লক্ষ্য করা গেলেও, ছাত্রদলসহ অন্যান্য সংগঠনও অংশ নিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
এ প্রেক্ষাপটে শিবিরের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে মত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, শিবিরকে হারাতে হলে মেধাবী হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাকসু) ২৬টি পদে ২৪টিতেই শিবিরের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে, আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাকসু) ২৩টির মধ্যে ২২টি বা বলা যায় ২০টি পদে জয় পেয়েছে শিবির-সমর্থিত প্যানেল। অন্যদিকে ছাত্রদল চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডাকসু, জাকসু, চাকসু, রাকসু) সব নির্বাচন মিলিয়ে মাত্র একটি এজিএস পদ পেয়েছে।
এই বাস্তবতা বলে দিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শিবির এক নতুন বাস্তবতায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
গালিব মনে করেন, পুরোনো ধারার রাজনীতি দিয়ে এই প্রজন্মকে আর আকৃষ্ট করা সম্ভব নয়। তার ভাষায়,
বয়স্ক ছাত্র, অছাত্র, সন্ত্রাস বা চাঁদাবাজির রাজনীতি দিয়ে আর কাজ হবে না। শিবিরকে টক্কর দিতে হলে হতে হবে মেধাবী, গঠনমূলক রাজনীতি করতে হবে ছাত্রদের স্বার্থে, আর ব্যক্তিত্বেও থাকতে হবে পরিশীলন ও সৌন্দর্য।
ড. মির্জা গালিব। পোস্টের শেষে লেখেন, আমরা যে বাংলাদেশ চেয়েছিলাম- যেখানে যুক্তি, শুদ্ধতা আর চিন্তার জায়গা বড় হবে- সম্ভবত সেটিরই প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে এখন।
এদিকে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ. নজরুল ইসলাম জানান, এবারের রাকসু নির্বাচনে ২৩ পদের মধ্যে ২০টিতেই জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট। ফলাফল ঘোষণা হয় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন ভবনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে।