আশাশুনি সংবাদদাতা : আশাশুনি-শ্যামনগর প্রস্তাবিত সীমানা বাতিল, সাতক্ষীরার পাঁচটি আসন পুনর্বহাল ও আশাশুনিকে স্বতন্ত্র আসনের দাবি এবং সাতক্ষীরা-৩ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২আগস্ট) বিকাল ৫টায় আশাশুনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামী সরকারি কলেজ জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা ব্যাংক মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নায়েব আমির মাওঃ নুরুল আবছার মুর্তাজার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য, বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান মুকুল, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সবুর। সদর সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাই এর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আই বি ডব্লিউ এফ সভাপতি এবিএম আলমগীর পিন্টু, বিশিষ্ট আইনজীবী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট শহিদুল ইসলাম, অফিস সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল কুদ্দুস, সদর ইউনিয়ন আমির হাফেজ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসে সারাদেশে ৩৯টি আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার আওতায় সাতক্ষীরার-১০৭ নম্বর আসন (সাতক্ষীরা-৪) হিসেবে শ্যামনগর ও আশাশুনি দুটি ভিন্ন উপজেলা নিয়ে একটি সংসদীয় আসন গঠন করা হয়েছে। শ্যামনগর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা আয়তনের দিক থেকে এবং এটি সুন্দরবনের একেবারে সন্নিকটে অবস্থিত। অপরদিকে আশাশুনি উপজেলা ভৌগোলিকভাবে শ্যামনগর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। এই দুই উপজেলার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করে শুধু শ্যামনগরের গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন,যা খোলপেটুয়া নদী দ্বারা বিভক্ত এবং যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম খেয়ানৌকা। বাস্তবতা হলো-আশাশুনি ও শ্যামনগরের মাঝে কোন কার্যকর সড়ক সংযোগ নেই। বরং আশাশুনির উত্তরের সীমান্ত গিয়ে মিশেছে তালা,পাইকগাছা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সঙ্গে, যার একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তের দূরত্ব প্রায় ৯০-১০০ কিমি। ফলে দুটি ভিন্ন ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উপজেলা নিয়ে একটি সংসদীয় আসন ঘোষণা জনসাধারণের জন্য ভোগান্তি ডেকে আনবে বলেই তারা মনে করেন।