আপসহীন রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী উল্লেখ করে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোন ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার কিংবা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদের সাথে আপস করেনি। যার কারণে জামায়াতে ইসলামীর উপর দেশি-বিদেশি নানামুখী ষড়যন্ত্র এবং জুলুম- নির্যাতন ও অপপ্রচার চালানো হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল সহ শীর্ষ ১১ জন নেতাকে বিচারিক হত্যা করা হয়েছে। ৫ শতাধিক মামলায় দলের লক্ষাধিক নেতাকর্মী কে সাজিয়ে জুলুম- নির্যাতন জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা আল্লাহর জমিনে, আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে চায়; যারা মানুষের অধিকার আদায়ে রাজপথে লড়াই করে, তাদের নিঃশেষ করা যায় না, যাবে না।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডেমরা মধ্যে থানা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এতো জুলুম- নির্যাতন করেও যখন জামায়াতে ইসলামীকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি, তখন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেড়ে নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অফিস থেকে শুরু করে ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড অফিসও বন্ধ করে দিয়েছিলো। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়েছে। এমনকি ইসলাম ধর্মকে তারা জঙ্গিবাদ আর মৌলবাদ আজ্ঞা দিয়েছিল।
কোন কিছুতেই জামায়াতে ইসলামী এক মূহুর্তের জন্য থেমে থাকেনি, থেমে যায়নি। পরবর্তীতে তারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিলো। কিন্তু এদেশের জনগণ তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দেশ থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ও জনগণ একই সুতোয় গাঁথা মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী নতুন বাংলাদেশ গড়বে।
ঈর্ষনীয়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রমে জনপ্রিয়তা দেখে এক দল এখন আওয়ামী লীগের ভূমিকায় জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচার না চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীর জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম অনুসরণ করে জনগণের আস্থা, ভালোবাসা ও সমথর্ন অর্জন করতে তিনি, ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, উপস্থিত দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষের (১১-২৫ এপ্রিল) প্রত্যেক এলাকার প্রতিটি ঘরে-ঘরে, প্রতিটি মানুষের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। এটি জামায়াতে ইসলামীর দলীয় দায়িত্ব নয়, এটি মহান আল্লাহর নিদের্শিত দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন করা ঈমানী দায়িত্ব।
ডেমরা পেশাজীবি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা এনামুল হকের পরিচালনায় গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী, ডেমরা জোনের সহকারী পরিচালক ও ডেমরা মধ্য থানা আমীর মোহাম্মদ আলী , থানা কর্মপরিষদের সদস্য ডা. সাইদুল হক পাটোয়ারী, মুফতি জাকির হোসেন, মাওলানা মোস্তফা মোহাম্মদ আরিফ, ওমর ফারুক ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম জিহাদি সহ দায়িত্বশীল বৃন্দ।
মহানগরীর আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল ৪৫০ জন যুবক ও পেশাজীবীদের হাতে আল-কুরআন তুলে দেন এবং জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করার মধ্য দিয়ে গণসংযোগ ও দাওয়াতি অভিযানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী খিলগাঁও পশ্চিম থানার উদ্যোগে খিলগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নুরুল ইসলাম বুলবুল।
মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য, খিলগাঁও জোনের সহকারী পরিচালক এবং খিলগাঁও পশ্চিম থানা আমীর এস এম মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে এবং মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও খিলগাঁও পশ্চিম থানা সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অবিভক্ত খিলগাঁও - রামপুরা থানার সাবেক আমীর কবির আহমদ, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও খিলগাঁও জোনের পরিচালক মাওলানা ফরিদুল ইসলাম, মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য ও খিলগাঁও জোনের টিম সদস্য মো. শাহজাহান, খিলগাঁও পশ্চিম থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. সরোয়ার, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, শাহ মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম, মো. বাহার উদ্দিন ও মো. কামরুজ্জামান এবং থানা মজলিসে শূরা সদস্য রাশেদুল ইসলাম, মো. ফাইজুল আমিন সহ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।