রাজনীতি
খেলাফত আন্দোলনের ইফতার মাহফিলে জাতীয় নেতৃবৃন্দ
ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, হাফেজ্জী হুজুর রহ. ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই
Printed Edition

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, হাফেজ্জী হুজুর রহ. ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই দেশ থেকে সকল অনাচার, দুর্নীতি, অবিচার দূর করা সম্ভব। আমাদেরকে আমৃত্যু ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
গত শনিবার বিকাল ৪ চারটায় রাজধানীর গুলিস্তানস্থ ইম্পেরিয়াল হোটেল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বক্তব্য রাখেন ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী, ড. খলিলুর রহমান মাদানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা ইসহাক মো: আবুল খায়ের, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মাওলানা একেএম আশরাফুল হক্ব, মো: মমিনুল ইসলাম, ড. ফায়যুল হক, রোকনুজ্জামান রোকন, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান মাহমূদী, মুফতি সুলতান মুহিউদ্দিন, এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমীন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বকুল প্রমুখ
উপস্থিত ছিলেন শায়খুল হাদীস মাওলানা আজীম উদ্দীন, হাজী জালালুদ্দীন বকুল, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, অ্যাডভোকেট লিটন চৌধুরী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, মুফতী ইলিয়াছ মাদারিপুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুফাচ্ছির হোসাইন ও মুফতি আকরাম হুসাইন প্রমুখ। । এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল খেলাফত আন্দোলনের ইফতার মাহফিল।
সভায় মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, মানরচিত শাসনব্যবস্থা দেশে শান্তি আনতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্য কোন উপায় নেই। অতএব আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামী শাসন কায়েমের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, বাংলাদেশে যে যে দলই করুক না কেন, ইসলামবিরোধী কোন আইন সংসদে কেউ পাশ করতে পারবে না, সিলেবাসে ইসলামবিরোধী কোন বিষয়বস্তু রাখা যাবে না, কাদিয়ানী দেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মুফতী সুলতান মহিউদ্দীন বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন সকল বাতিলের বিরুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। নাস্তিক্যবাদ, কথিত ব্লগারদের ইসলামবিরোধী লেখালেখি, শাহবাগীদের ইসলামবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম মাঠে নেমেছিল খেলাফত আন্দোলন। বিগত স্বৈরশাসনের আমলে খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত ও মহাসচিবকে কারাবরণও করতে হয়েছিল। খেলাফত আন্দোলন অন্যায়ের সাথে কখনো আপস করেনি, করবেও না ইনশাআল্লাহ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।