বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, বিগত ১৭ বছরের প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিরকরণের এই ৭ দফা দাবি ছাত্র-জনতার দাবি। যতক্ষণ পর্যন্ত ৭ দফা দাবি বাস্তবায়িত না হবে, এদেশের ছাত্র সমাজ ততক্ষণ পর্যন্ত কোন নির্বাচন মেনে নিবে না। ছাত্র সমাজের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আবারো রাজপথে নামতে হবে। তিনি বলেন, ছাত্র সমাজ রাস্তায় নামলে দাবি আদায় করে ছাড়বেই, ছাড়বে। বিজয় নিশ্চিত না করে ছাত্র সমাজ কখনো রাজপথ ছাড়েনি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা বিরোধী আন্দোলন ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে হয়েছে এবং ছাত্র সমাজ বিজয়ী হয়েছে। ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র-জনতার আকাঙ্খা বুঝে ৭ দফা দাবি মেনে নিবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-৪ সংসদীয় এলাকার ইসলামী ছাত্র শিবিরের সদস্য ও সাথীদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আসন্ন ১৯ জুলাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ঢাকা-৪ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সৈয়দ জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্র শিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিন রুবেল এবং সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসাইন। কদমতলী মধ্য থানা আমীর মো. মহিউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যাত্রাবাড়ী-শ্যামপুর থানা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা যাকীর হোসাইন, কদমতলী দক্ষিণ থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান, কদমতলী পূর্ব থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কদমতলী পশ্চিম থানা আমীর মো. কবিরুল ইসলাম, শ্যামপুর দক্ষিণ থানা আমীর মো. কামরুল আহসান, শ্যামপুর পশ্চিম থানা আমীর মাওলানা আবদুর রব ফারুকী সহ ঢাকা-৪ সংসদীয় এলাকার জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।

দেলাওয়ার হোসেন বলেন, একটি শক্তি আওয়ামী মার্কা নির্বাচনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা চায়, যেনতেন একটি নির্বাচন করে ক্ষমতার মসনদে বসতে। আবু সাঈদ, মুগ্ধের উত্তরসূরিরা বেঁচে থাকতে এদেশে আর কোন ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচনে ছাত্র সমাজ; সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডরাবাজ, দখলদারদের বয়কট করবে। জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ মুক্ত, বৈষম্যহীন একটি সুখী-সমৃদ্ধ, ইনসাফর্পূণ বাংলাদেশ গড়তে চায়। জামায়াতে ইসলামীর চাওয়া এবং ছাত্র সমাজের চাওয়া একই। তাই ছাত্র সমাজ জামায়াতে ইসলামীর সাথেই থাকবে। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।