বাংলাদশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন ছিল না। পেশিশক্তি এবং ক্ষমতার জোরে নির্বাচন সংঘটিত হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ এই প্রহসনের নির্বাচন গ্রহণ করেনি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছিল। এর মধ্যদিয়ে দেশে নতুন একটি ধারা তৈরি হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে নির্বাচন ব্যবস্থায় নতুন ধারার আশানুরূপ প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মগবাজারে ঢাকা অঞ্চল উত্তর, ফরিদপুর অঞ্চল এবং রংপুর জেলা ও মহানগরীর আসন প্রার্থী, আসন পরিচালক ও আসন সদস্য সচিবদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী লিডারশীপ ট্রেনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারে পিআর পদ্ধতি। পিআর পদ্ধতিতে উন্নত নির্বাচন সম্ভব। যা বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রে চালু আছে। সন্ত্রাস, কালো টাকা ও পেশি শক্তির প্রভাবমুক্ত নির্বাচন দেয়ার জন্য পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই। জনগণও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করার পক্ষে। কিন্তু সংবিধানের দোহাই দিয়ে অনেকে জনআকাঙ্খাকে পাশ কাটিয়ে চলছে। ইলেকশন কমিশনও জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচন জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ও পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে। সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লিডারশীপ ট্রেনিংয়ের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা অঞ্চল উত্তরের পরিচালক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ। তিনি বলেন- বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই। এ জন্য সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে যেতে হবে, দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। আজকের এই প্রশিক্ষণ নির্বাচনী কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন আবদুস সাদেক ভূইয়া, খন্দকার জাকারিয়া আহমেদ প্রমূখ।