বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব ও সাংবাদিক মারুফ কামাল খান বলেছেন, হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রমাণ করল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতির আর কোনো সম্ভাবনা বা ভবিষ্যৎ নাই।

রোববার (১৮ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনের দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

ওই পোস্টে তিনি আরও বলেন, নাগরিকত্ব নেওয়ার মাধ্যমে সে নিজেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ধারা থেকে সরিয়ে নিয়েছে। লীগের যেসব গরু-গাধা এখনো আওয়ামী লীগের জন্য ঝুঁকি নিতে চায়, কেবল ওরাই বুঝতে পারছে না যে, ইতিহাসের পৃষ্ঠা আর উলটো দিকে উলটানো যাবে না।

উল্লেখ সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসির ইউএস সিটিজেনশিপ সেন্টারে আয়োজিত এক নাগরিকত্ব শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। শপথ অনুষ্ঠান শেষে তাকে নাগরিকত্ব সনদপত্র প্রদান করা হয়। এরপরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। ওই শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ২২ ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন। এদের মধ্যে তিনজন ছিলেন বাংলাদেশি, যাদের একজন জয়। বাংলাদেশের নাম ঘোষণা হওয়ার পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে তিনি শপথ পাঠ করেন। শপথ অনুষ্ঠানে তিনি একজন আইনজীবীর উপস্থিতিতে অংশগ্রহণ করেন।

২০১৮ সালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জয় জানিয়েছিলেন, তার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই এবং তিনি এখনো বাংলাদেশি সবুজ পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। সে সময় তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তার স্থায়ী বসবাসের অনুমতি থাকলেও বাংলাদেশি নাগরিকত্বই তার পরিচয়।

জয়ের মার্কিন নাগরিকত্ব নেওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেশ হতাশ ও দিগ্ভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। দলটির অনেক নেতাকর্মীই বলছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা মার খাচ্ছেন। হামলা, মামলা ও গ্রেফতার হচ্ছেন। দলের নেত্রী ও কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারাও কেউ নেই। দলের এমন দুঃসময়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের উচিত ছিল সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া। কিন্তু তিনি নিজেই আরেক দেশের নাগরিত্ব নিলেন। এর মধ্য দিয়ে মূলত আওয়ামী লীগের নৌকা পুরোপুরি ডুবে গেল।