বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের কার্যকরী কমিটির গত সোমবার এক সভা মগবাজারে অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মনজুরুল হকের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এবিএম ফজলুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাআশিফের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক রবিউল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম বলেন, জাতিকে সুশিক্ষিত করে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে শিক্ষকদের ভূমিক অপরিসীম। আর এ ধরনের যোগ্য শিক্ষক পেতে হলে চাই তাদের জন্য উপযুক্ত সম্মানী বেতন-ভাতা, পদোন্নতি, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ইত্যাদির। শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে আর্থিকভাবে অভাব-অনটনে ও কষ্টে রেখে উপযুক্ত সুশিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ৫০% বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ১০০% উৎসব বোনাস ও অবসর প্রাপ্তদের পাওনাদি দ্রুত পরিশোধসহ শিক্ষকদের সকল যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নেয়ার জন্য বর্তমান সরকারকে আহবান জানাচ্ছি। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যদি দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়া হয়, তবে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন সকল শিক্ষকদের সাথে নিয়ে আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, অতীতে স্বৈরাচারী সরকার জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সীমাহীন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন শিক্ষক সমাজ। পতিত স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবার পর আমাদের ধারণা ছিলো এবার শিক্ষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি অতীতে যেমন শিক্ষকরা অবহেলিত ছিলো বর্তমানেও তাই আছে। সুতরাং আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই অতিদ্রুত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিন নতুবা শিক্ষকরা দাবি আদায়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদের সহ-সভাপতি একরামুল হক ভূইয়া, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্দুর রহীম সরকার, সহকারী সেক্রেটারি মো: রফিকুল ইসলাম খাঁ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: রুহুল আমীন, মো: শহীদুল রহমান মোল্লা, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ চৌধুরী, সদস্য আবুল কালাম আযাদ, আব্দুল রহীম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।