নির্বাচন কমিশন নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে প্রতিবারই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। এসব আবেদন সরেজমিনে অনুসন্ধান করে তাদের অধিকাংশই ভূইফোঁড় ও প্যাডসর্বস্ব হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় নিবন্ধন দেয়া হয় না। এবারও নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য ১৪৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। এসবের কিছুসংখ্যক বাদে অধিকাংশই ভূইফোঁড় ও প্যাডসর্বস্ব। সরেজমিনে গিয়ে বেশকিছু দলের কার্যালয়ের অস্তিত্বও পাওয়া যায় না। আবেদনকারী দলগুলোর তথ্য সংগ্রহে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও ইসির লোকজন।

সূত্রমতে, নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে নামসর্বস্ব অনেক রাজনৈতিক দল। এসব দলের কোনোটির নেই কার্যকরী কমিটি; কোনোটি আছে শুধুই কাগজ-কলমে। আবার কোনো দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তো দূরের কথা, সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেই। আবার অনেক রাজনৈতিক দলের নামও অদ্ভুত। গত নির্বাচনের আগে ৯৩টি রাজনৈতিক দল আবেদন করলেও নিবন্ধন পেয়েছিল মাত্র দু’টি রাজনৈতিক দল। এদিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে ১৪৭টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে অনেক রাজনৈতিক দলই গঠিত হয়েছে গত বছর ৫ আগস্টের পর। এসব দলের অফিস ও ঠিকানা, সাংগঠনিক কার্যক্রম খুঁজে বের করা এবং নথি-সংবলিত সব ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে মাঠে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি। সম্প্রতি নিবন্ধন স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আর আদালতের আদেশে নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিবন্ধন পেয়েছে ৬টি দল। সবমিলিয়ে এখন নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০।

ইসি সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধিত হতে হয়। এ নিবন্ধন পেতে কিছু শর্ত পূরণ করার বিধান আছে। গত বছর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এসব শর্ত কিছুটা সহজ করার সুপারিশ করেছে। তবে সে সুপারিশ এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। আগের শর্তেই নিবন্ধন চায় ইসি।

জাতীয় নির্বাচন-সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য কিছু শর্তের উল্লেখ আছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর অফিস, অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন (মহানগর) থানায় কার্যালয় এবং প্রতিটি কার্যালয়ে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে।

এর বাইরে নিবন্ধনের জন্য দলের গঠনতন্ত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে বিধান রয়েছে। যেমন কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা, সব পর্যায়ের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ সদস্যপদ নারীদের জন্য নির্ধারিত রাখা এবং পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সালের মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বা শ্রমিক ও অন্য কোনো পেশার সদস্যদের সমন্বয়ে অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন না থাকা ইত্যাদি।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৯৩টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। শেষ পর্যন্ত নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল মাত্র দুটি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)।

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন দিতে আমাদের একটা যাচাই-বাছাই তালিকা রয়েছে। নিবন্ধনের আগে আমরা দেখব, নতুন আবেদনকারী দলগুলো শর্ত পূরণ করেছে কিনা।

ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্যদল। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. নুর ইসলাম শিকদার। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি সুপার মার্কেটের দোতলায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল। ঝড়ের কারণে দলের সাইনবোর্ড উড়ে গেছে। নতুন করে সাইনবোর্ড বানাতে দিয়েছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নতুন কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রস্তুত করবেন বলে জানান নুর ইসলাম।

আরেক আবেদনকারী বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান রাজা সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশকে বেকারমুক্ত করতে এই রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছি। এবারই প্রথম নিবন্ধনের আবেদন করা হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে সারাদেশে তার দলের আটটি জেলা ও ৭২টি উপজেলায় কমিটি রয়েছে।

জাতীয় ন্যায়বিচার পার্টি নামে আরেকটি রাজনৈতিক দল ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন করেছে। তারা নয়াপল্টনের ইসলাম টাওয়ারের সপ্তম তলাকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে দেখিয়েছে। ইসলাম টাওয়ারের সপ্তম তলায় গিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেখানে ‘আল আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসসহ বেশ কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি ও অন্য চার-পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে।

নয়াপল্টনের ডিআইটি এক্সটেনশন রোডের ৫৩ নম্বর বাড়িটিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেখিয়ে ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন করেছে বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি নামে একটি দল। সেই ঠিকানায় গিয়ে পুরো ভবনে কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

৮৫/১/এ, পুরানা পল্টন লেনÑএ ঠিকানাকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেখিয়ে ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন করেছে বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি। কিন্তু পুরো ভবন খুঁজে কোনো রাজনৈতিক দল পাওয়া যায়নি।

ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি নামে একটি দল ১১৬/১, নয়াপল্টন, বক্স কালভার্ট রোড ঠিকানাকে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেখিয়ে নিবন্ধনের আবেদন করেছে। কিন্তু সরেজমিন সেখানে মদিনা ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি দোকানের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

যেসব দল ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ সংগ্রামী ভোটার পার্টি, মুসলিম জনতা পার্টি, নতুন প্রজন্ম পার্টি, ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি, বাংলাদেশ নাগরিক দল-বিএনডি, ন্যাশনাল ফ্রিডম পার্টি, নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি), জাতীয় জনতা পার্টি, বাংলাদেশ সর্ব-স্বেচ্ছা উন্নয়ন দল, কোয়ালিশন-ন্যাশন্যাল পার্টি (সিএনপি), জাস্টিস ফর হিউমিনিটি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ-তিসারী-ইনসাফ দল, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি (বাজপা), বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি (বাজপ), বাংলাদেশ জনতা পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশ সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, বাংলাদেশ আজাদী পার্টি-বিএপি, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ ইসলামিক জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট পার্টি (বিডিএম), বাংলাদেশ বেস্ট পলিটিক্যাল পার্টি (বিবিপিপি), মানবিক বাংলাদেশ পার্টি, বাংলাদেশ সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (বিএসডিপি), বাংলাদেশ আজাদী পার্টি (বিএপি), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), গণদল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (বিএনডিপি), ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (ডিপি), বাংলাদেশ গণবিপ্লবী পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি), জনতা পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ), বাংলাদেশ জনজোট পার্টি (বাজপা), জনতার দল, জাতীয় ন্যায়বিচার পার্টি, বাংলাদেশ সমতা পার্টি, বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টি (বিসিপি), বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি (বিসিপি), বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-বিএনডিপি, বাংলাদেশ ইসলামী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (বিআইডিপি), ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি (আইজিপি), জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট দল-এনএফএফ, বাংলাদেশ নাগরিক কমান্ড, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ফেডারেশন, নৈতিক সমাজ, বাংলাদেশ জাতীয় দল (বিজেডি), জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ জাতীয় কৃষক শ্রমিক পার্টি, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বেকার সমাজ, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, ন্যাশনাল লেবার পার্টি, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন, বাংলাদেশ জনগণের দল, বাংলাদেশ গ্রিন পার্টি, বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাকশন পার্টি, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি, নাকফুল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণ অধিকার পার্টি, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, নতুন ধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ একাত্তর পার্টি, স্বাধীন বাংলা পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস মুভমেন্ট, জাগ্রত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ দেশপ্রেমিক প্রজন্ম, বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাসি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রজনতা পার্টি, খেলাফত ইসলাম, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু অধিকার, বাংলাদেশ সলুশন পার্টি, বাংলাদেশ সংগ্রামী ভোটার পার্টি, মুসলিম জনতা পার্টি, নতুন প্রজন্ম পার্টি, ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি, বাংলাদেশ নাগরিক দল-বিএনডি, ন্যাশনাল ফ্রিডম পার্টি, জনতার বাংলাদেশ পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পার্টি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি। এ ছাড়াও বাংলাদেশ রক্ষণশীল সমাজ (বিসিপি), জনতা কংগ্রেস পার্টি, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি (বাজাপা), বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্যদল, বাংলাদেশ জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ নাগরিক আন্দোলন পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি, জাস্টিস পার্টি বাংলাদেশ-জেপিবি, বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি (বিপিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ কৃষক পার্টি (কেএসপি), জনতার কথা বলে, ভাসানী শক্তি পার্টি, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন, বাংলাদেশ জনগণের দল (বাজদ), ফরোয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, স্বাধীন জনতা পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ শান্তির দল, সংবিধান বিষয়ক জনস্বার্থ পার্টি সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), ডেমোক্র্যাটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ গণ অভিযাত্রা দল, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, ন্যাশনাল লেবার পার্টি (এনএলপি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ), জনতা মহাজোট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জনতার ঐক্য, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, নিউক্লিয়াস পার্টি, ইউনাইটেড বাংলাদেশ পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পার্টি (বিএনএলপি), বাংলাদেশ মাতৃভূমি দল, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি (এম), বাংলাদেশ পাক পাঞ্জাতন পার্টি (বিপিপি), সাধারণ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), ন্যাপ ভাসানী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), জাতীয় পেশাজীবী দল (এসপিপি), বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট (বিজেএফ), বাংলাদেশ জাতীয় ইনসাফ পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি-ডিসিপি, ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, বাংলাদেশ জনজোট পার্টি (বাজপা), বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশী জনগণের পার্টি, অহিংস গণ আন্দোলন, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, জনতার বাংলাদেশ পার্টি, মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি ও মুসলিম সেভ ইউনিয়ন নামে নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন জমা পড়েছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচন সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করা হয়। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করেছিল ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল। অনেকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। শেষ দিনে নিবন্ধনের আবেদন করেছে ৮২টি দল।