অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ কযেছেন বিএনপর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যেখানেই আমরা যাই সেখানে দেখতে পাচ্ছি, প্রশাসনের লোকদের মধ্যে সুর ভিন্ন রকম। ফ্যাসিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছে। খুঁজে খুঁজে বিএনপি বিরোধী মতাদর্শের কর্মকর্তাদের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। এসব জায়গায় তো বিএনপির কাউকে বসানো হচ্ছে না

তাহলে আমরা কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করি।

গতকাল সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরাও প্রশাসনে তো আছেই। এরপর যে সমস্ত ছেলেরা সেই বিশেষ ইসলামপন্থি দলটির যারা এক সময়ে ছাত্র জীবনে বিএনপি বিরোধী রাজনীতি করেছেৃ তারপরে তারা ক্যাডার সার্ভিসের সুযোগ পেয়েছেন, এদের রাখা হয়েছে। তাহলে এই রাষ্ট্র একটা ফ্যাংশনাল রাষ্ট্র হবে না, এই রাষ্ট্রটি একটি আর্টিক্যুলেট রাষ্ট্র হবে না। আর এভাবে দল যদি এভাবে খোঁজ খবর নিয়ে এই এই লোকগুলো জামায়াতের, বিএনপি বিরোধী, এই এই লোকগুলো শিবিরের এদেরকে কি পয়েন্টে আনতে হবে এবং তারা যদি ভূমিকা রাখতে চান তাহলে কখনই আপনি একটি অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন না।যখনই দলীয় মতাদর্শের ক্যাডারদের আপনি বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করবেন তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দেবে না, প্রশাসনই করতে দেবে না।

রিজভী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা যাকে জনপ্রশাসন সচিব করেছিলেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে তিনি(মোখলেসুর রহমান) গোঁড়া থেকেই একজন বিএনপি বিরোধী একজন লোক ছিল, তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আমাদের তারেক রহমানের নামে একেবারে কিভাবে গুছিয়ে মিথ্যা মামলা সাজানো যায় সেটা তিনি করেছিলেন তাকে আপনার দীর্ঘদিন ওইপদে রেখেছিলেন। তিনি বা তারা যে দায়িত্বটি পালন করেছেন যে, খুঁজে খুঁজে যে ছেলেগুলো হয়ত ছাত্র জীবনে ছাত্র দল অথবা বিএনপি পরিবারের ছেলে তাদেরকে দূরে রাখার কাজটি করেছেনৃ করেছিলোও তাইৃ তাদেরকে সব গুরুত্বহীন জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে, ওএসডি করে রেখেছে।’

তিনি বলেন, যেখানেই আমরা যাই সেখানে দেখতে পাচ্ছি, প্রশাসনের লোকদের মধ্যে সুর ভিন্ন রকম। কোথায়? ছাত্র দলের ব্যাকগ্রাউন্ড আছে জাকির হোসেনকে তো চুক্তিভিত্তিক নেননি? আবদুর রউফকে পদায়ন করে আবার সরিয়ে দিয়েছে অতিরিক্ত সচিব থেকে, তরিকুল ইসলামকে আপনারা গুরুত্বগহীন জায়গায় ফেলে রেখেছেনৃ তাহলে মাহফুজকে বলব, বিএনপি ও জামায়াত কামড়াকামড়ি করে কোথায় ছাত্র দল করত একসময় তারা বসেছে?

জনগণের সেবকের রাজনৈতিক রং থাকতে পারে না মন্তব্য করে

রিজভী বলেন, আমরা প্রশাসনে সেই ব্যক্তিদের দেখতে চাই, যাদের মধ্যে নিরপেক্ষতা আছে। ছাত্র জীবনে যে কেউ ছাত্র সংগঠন করতে পারে কিন্তু সে একটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সে রাষ্ট্রের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে এবং জনগণের সেবক হিসেবে থাকবেন.. জনগণের সেবকের তো কোনো রাজনৈতিক রং থাকতে পারে না।

আপনি(মাহফুজ আলম)অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আছেন মন্ত্রীর পদমর্যাদায়ৃ আপনি বলছেন, বিএনপি, জামায়াতের কাড়াকাড়িৃ আপনি যখন কাড়াকাড়ি দেখলেন তখন কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?

হাসিনার চিন্তাধারারই প্রতিফলন দেখছি মন্তব্য করে রিজভী বলেন, যে ইসলামপন্থি দলের কথা বললাম তাদের লোকদের সুচারুভাবে বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে। মাহফুজ আলম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের কামড়াকামড়ি। আমি বলতে চাই, কোথায় দেখান। একটি দলের সমর্থিতরা বসানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, তাহলে আমরা কী ভাবব না যে, কোনো একটা এজেন্ডা নিয়ে নীলকসা নিয়ে এ সরকার এগুচ্ছে। সরকারের ভেতরে সরকার থেকে, যেটাকে কেউ কেউ বলেন, ডীপ স্টেট থেকে কিছু একটা হচ্ছে।

লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড করতে হলে অবশ্যই প্রশাসনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।