আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী করতে রুকন সহ ইসলামী আন্দোলনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল।

গতকাল শুক্রবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের ভাওয়াল অঞ্চলের একটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা শাখা আয়োজিত ২ দিনব্যাপী রুকন শিক্ষা শিবিরের ১ম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা জেলা আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী। উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রউফ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা এবিএম কামাল হোসাইন ও মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য কবিরুজ্জামান, এডভোকেট শহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তৌহিদ হোসেন, লুৎফর রহমান, এডভোকেট মীর আতাউর রহমান, ইমদাদুল হক, জেলা প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান জীম প্রমূখ।

তিনি বলেন, রুকনরাই হচ্ছেন সংগঠনের মূল চালিকাশক্তি। তাই ইসলামী আন্দোলনকে গতিশীল ও মজবুতভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে রুকন সহ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে আরো সক্রিয় ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। মূলত, প্রত্যেক জনশক্তির প্রধান কাজই হবে দাওয়াতি কার্যক্রমের সম্প্রসারণ। এ ক্ষেত্রে গণসম্পৃক্ততা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। সর্বোপরি জনগণের সমস্যা চিহ্নিত করে সেসব সমস্যার সাধ্যমত সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। একই সাথে নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী সৃষ্টি ও যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য বেশি বেশি কুরআন-সুন্নাহর চর্চা, ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন; সর্বোপরি আমল-আখলাকের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। মূলত, প্রতিটি ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে পারলেই ইসলামের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, জনগণ উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু দেশে নির্বাচনী পরিবেশ এখনো সৃষ্টি করা যায়নি। জুলাই সনদ এখনো ঘোষিত হয়নি। হয়নি রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারও । এমনকি গণহত্যাকারীদের বিচারও এখনো দৃশ্যমান নয়। তাই জুলাই সনদ, রাষ্ট্রের কাক্সিক্ষত সংস্কার ও জুলাইয়ের গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান করার পরই অবিলম্বে দেশে নির্বাচন দিতে হবে। তিনি জামায়াতের পক্ষে গণজোয়ারের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে এক নতুন বিপ্লবের সম্ভবনা সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করবে। তিনি আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগামী নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী রুকনদের ময়দানে সর্বশক্তি নিয়োগ করার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে গণসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে নিয়মিত গণসংযোগের কোন বিকল্প নেই। শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সকল বয়ষের মানুষের মধ্যে ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ হবে ইনশাআল্লাহ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।