চরফ্যাশন (ভোলা) সংবাদদাতা : চরফ্যাশনে জামায়াত কর্মীদের দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে বিএনপি কর্মী। এতে ২০ জন আহত হয়েছে বলে দুই দলের নেতারা দাবি করেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জিন্নাগড় ইউনিয়নের চকবাজারে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনায় আহতদের নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আসলে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় জামায়াত নেতাদের দাবি, সকাল আটটার দিকে দাঁড়িপাল্লা মার্কার গণসংযোগ শেষে চকবাজারে জামায়াত কর্মী গ্রাম্য ডাক্তার জামাল ফার্মেসিতে বসলে স্থানীয় তিনজন বিএনপি কর্মী তার ফার্মেসিতে এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামের পক্ষে গণসংযোগে যেতে নিষেধ করে। গ্রাম্য ডাক্তার জামাল তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তাকে তারা মারধর করেন। এতে তিনি বুকেও পিঠে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। আহত জামালকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে হাসপাতাল আনতে চাইলে বিএনপি’র নেতা কর্মীরা তাকে বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ ও জামায়াতে ইসলামের নেতা কর্মীরা গিয়ে তাকে নিয়ে চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে চকবাজারে স্থানের বিএনপি নেতাকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্সসহ জামায়াতে ইসলামী’র নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। এ ব্যাপারে হাসপাতালে আহত কর্মীদের দেখতে এসে ভোলা -৪ (চরফ্যাশন ও মনপুরা) আসনের জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামাল সাংবাদিককে বলেন, আমরা এই পৈশাচিক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে জড়িত বিএনপির কর্মীদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।যারা নির্বাচনীয় প্রচার, প্রচারণায় বাঁধা, বিঘ্ন ঘটাতে চায়, প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহণের করার দাবি করছি।