জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিভিন্নস্থানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। আমাদের ব্যুরো অফিস ও সংবাদদাতারা এ খবর জানান।

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, রক্তাক্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায়। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের একই দিনে গণভোট আয়োজনের সরকারি সিদ্ধান্ত জনগণের রক্তঝরা গণআন্দোলনকে অবজ্ঞা করার শামিল। তিনি সরকারকে গণদাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।

শুক্রবার দুপুরে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ উত্তর গেইটে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ৫ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাজনীতির আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা আমরা নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। প্রিয় দেশবাসী জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে ঘোষণা করে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। মৌলিক সংস্কারকে গুরুত্বহীন করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রিক উত্তরণসহ জনআকাক্সক্ষার বাংলাদেশ গঠনের পথ সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে ।মানুষ সচেতন, বিশেষ করে বাংলার তারুণ্য, জুলাই বিপ্লবের যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তারা সকল খোঁজ খবর রাখে, এই যড়যন্ত্র সম্পর্কে তারা অবহিত রয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাহেব কে কতিপয় উপদেষ্টারা আজকে বিভ্রান্ত করে দেশক নতুন সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন আজকে উপদেষ্টা পরিষদের জন্ম জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে হয়েছে, যারা আজকে উপদেষ্টা পরিষদে দায়িত্ব পালন করছেন তারা জুলাই বিপ্লবের হাজারো শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ জুলাই গণভোটের জন্য তাদের নিকট কোনো বাজেট নেই যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বাংলাদেশের মানুষ একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন চাই না। বাংলাদেশের মানুষ জুলাইয়ের যে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, এই গণঅভ্যুত্থান শতভাগ মর্যাদা দিতে চাই। আর এই গণঅভ্যুত্থান কে যদি শতভাগ মর্যাদা দিতে হয়, জাতীয় নির্বাচনের সাথে গণ ভোটকে ঘুলিয়ে ফেলার কোন সুযোগ নেই, আমরা একইদিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন মানি না মানবো না।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও গণজাগরণের মাধ্যমে জনগণের সিদ্ধান্তের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। আমরা সংঘাত চাই না, আমরা সহিংসতা চাই না আমরা চাই জনগণের অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক সমাধান।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ৯ আসেনর সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. এ কে এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. আবু নাছের, নগর কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোছাইন প্রমুখ।

বিক্ষোভ মিছিলে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে আসা নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ অংশ নেন। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলটি আন্দরকিল্লা এলাকা প্রদক্ষিণ করে চকবাজার অলি খাঁ মোড় সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

অপর দিকে : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম টীম অঞ্চল সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভুঁইয়া বলেছেন, জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি দেয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামী সহ ৮ দল দাবি জানিয়ে আসছে। সারাদেশের জনগণ জুলাই সনদ এর আলোকে নির্বাচন দেয়ার সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু অন্তর্বতীকালীন সরকার নির্বাচনের দিন গণভোট দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে তামাশা করছে। জুলাই সনদ কার্যকরে আইনগত ভিত্তি দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অবিলম্বে গণভোট দিন। আর ৮ দলের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন করুন।

গতকাল বাদে জুমা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে (শিকলবাহা ক্রসিং) অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হক্কানী, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা, জেলা শিবিরের সেক্রেটারি ফরমানুর রহমান জাহিন, আনোয়ারা উপজেলা আমীর মাস্টার আবদুল গণি, পটিয়া উপজেলা আমীর জসিম উদ্দীন, কর্ণফুলী উপজেলা আমীর মাষ্টার মনির আবছার চৌধুরী, কালারপুল থানার আমীর মাস্টার নাছির উদ্দীন, বোয়ালখালী উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াছিন সহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, নভেম্বরেই অবশ্যই গণভোট দিতে হবে। জুলাই সনদের আইনের ভিত্তি বাস্তবায়নে গণভোটের কোনো বিকল্প নেই। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই গণভোটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যারা আগে এর বিরোধিতা করেছিল, তারাও এখন গণভোটের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব হলো পতিত স্বৈরাচারের সব ধরনের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। এই দেশে আর আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের কোনো স্থান হবে না। যারা তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে, তারা সচেতন হোন- কারণ তাদের হাতে হাজার হাজার মানুষের রক্ত লেগে আছে। জুলাই বিপ্লব ও বিডিআর বিদ্রোহসহ একাধিক গণহত্যার দায় তাদের ওপরই বর্তায়। উল্লেখ্য, বিক্ষোভ মিছিল ক্রসিং থেকে আরম্ভ হয়ে মইজ্যার টেক এসে সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

বগুড়া অফিস : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে বগুড়া শহরে বিক্ষোব মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। কেন্দ্রিয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে শহীদ খোকন পার্কে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শহর জামায়াতের আমির ও বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, সেক্রেটারি মাওলানা মানসুরুর রহমান, শহর সেক্রেটারি অধ্যাপক আ.স.ম আব্দুল মালেক, সহকারি সেক্রেটারি অধ্যাপক রফিকুল আলম, মাওলানা আব্দুল হামিদ বেগ, আজগর আলী, আব্দুস ছালাম তুহিন হেদাইতুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, শহিদুল ইসলাম প্রমূখ। বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়ে একটি দলের সরকারে পরিনত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সকল রাজনৈতিক দল ও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মনের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়ে শুধুমাত্র একটি দলের নির্দেশ মেনে চলছেন। তিনি সেই দলের চাহিদা মেটাতে সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে জাতির সাথে প্রতারনা করেছেন। একই দিনে সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের অর্থ হলো গণভোট এবং জুলাই সনদকে অবজ্ঞা করা। আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাই। অবিলম্বে গণবোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করা না হলে সংসদ নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে বলে সমাবেশে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। পরে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা : জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর পার্কে সমাবেশ করে তারা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুজার গিফারী, নায়েবে আমীর ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান, সহ সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হাসান, পৌর জামায়াতের আমীর হাফেজ গোলাম রাব্বানী, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ আব্দুল আলীম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি আব্দুল আজিজ। বক্তারা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। হাজারো ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই বিপ্লবকে নস্যাৎ করার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণকে সাথে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জাতিকে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি বড় ইন্দারা মোড় থেকে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শান্তিমোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

ভোলা জেলা সংবাদদাতা : নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ভোলা জেলা শাখা এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। এতে নেতৃত্ব দেন ভোলা-১ আসনে দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ নজরুল ইসলাম।

ভোলা নতুন বাজার চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বাংলা স্কুল মোড়, কে জাহান মার্কেট, বরিশাল দালান ও হাটখোলা মসজিদ এলাকা প্রদক্ষিণ করে সমাপ্ত হয়। মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জাতির আকাঙ্ক্ষাকে স্পর্শ করেনি। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও গণভোট ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়।”

বক্তারা আরও জানান, একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবেÑএ দাবিতে প্রয়োজনে তারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হারুনুর রশিদ। উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্বাস উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ইসমাইল হোসেন মনির, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ও মিডিয়া সম্পাদক অধ্যাপক আমির হোসেন, ভোলা সদর উপজেলা আমির মাওলানা কামাল হোসাইন, ভোলা পৌর আমির জামাল উদ্দিন, নায়েবে আমীর মোঃ রুহুল আমিন, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল গাফফার, মাওলানা আতাউর রহমান প্রমুখ।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে কালেক্টরেট মাঠে নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহ ৮ দলের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মো: ইউনুছ গত ১৩ই নভেম্বর জাতীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে গণভোট ও নির্বাচন একই দিনে হওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা ৮টি দল সহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মাঠে নামে। আলোচনা শেষে কালেক্টরেট মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।

৫ দফা দাবিগুলো হল: ১.জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন,২.উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা,৩.লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ৪. সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করা ও ৫.জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

নেত্রকোনা জেলা আমীর অধ্যাপক মাও. ছাদেক আহমাদ হারিছ এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক জনাব বদরুল আমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের অন্যতম টিম সদস্য ও নেত্রকোনা-২ আসনের সংসদ সদস্য নমিনি অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক, নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাও. মাহবুবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নমিনি অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা, নেত্রকোনা জেলা কর্মপরিষদ সদস্য নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য নমিনী মাওলানা আবুল হাসেম, নেত্রকোনা জেলা অন্যতম কর্মপরিষদ সদস্য সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ নেত্রকোনা জেলা আমীর মাওলানা মো:দেলোয়ার হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা শেষে বিক্ষোভ মিছিল টি কালেক্টরেট মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

সংসদ সদস্য নমিনি অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক বলেন, একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আমরা কখনোই প্রত্যাশা করি না এবং কথা উঠেছে আলাদা গণভোট করলে অনেক টাকা লাগবে আমি শুধু বলতে চাই ঐক্যমত কমিশনের কয়েকদিনে যে বৈঠক হয়েছে বিভিন্ন দলগুলোকে নিয়ে তাতে বিভিন্ন মিডিয়াতে খবর এসেছে আপ্যায়ন খরচ বাবদ প্রায় ৮৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে । আপ্যায়ন খরচ যদি ৮৩ কোটি টাকা খরচ হয় তাহলে বাংলাদেশে আলাদা করে গণভোট হওয়ার জন্য টাকার অভাব হবে না। তাই আমরা ৮ দল জামায়াতে ইসলামী সহ দাবি করি আগে গণভোট ও পরে জাতীয় নির্বাচন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হউক এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক জনাব মাহবুবুর রহমান বলেন, আজ আমরা অত্যন্ত ব্যথিত ও ভারাক্রান্ত গতকাল প্রধান উপদেষ্টা জাতীর উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দিয়েছেন সেই ভাষণের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে ভাবতে হচ্ছে। গত ২৪ এর ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বর্তমান সরকার জনগনের মেন্ডেট না বুঝে, জনগনের চাহিদা না বুঝে, সেগুলো মূল্যায়ন না করে আপনি যদি আপনার মসনদে বসে ক্ষমতা পরিচালনা করেন সেই ক্ষমতা ঘৃণায় পর্যবসিত হয়। তিনি আরো বলেন, একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন যদি হয় সেটা জুলাই এর যে আকাঙ্ক্ষা জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা সেটা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তাই নির্বাচনের আগেই গণভোট দিয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে।

গণভোটের দাবি ও নাশকতার প্রতিবাদে শ্রীপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

শ্রীপুর (গাজীপুর) সংবাদদাতা : গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামী শুক্রবার বিকেলে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে। দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে সংঘটিত জ্বালাও-পোড়া, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী শ্রীপুর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমীর ও গাজীপুর-৩ আসনের দলীয় এমপি পদপ্রার্থী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

মাওনা চৌরাস্তা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি এলাকাজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে মিছিলটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সড়কের দু’পাশজুড়ে সমবেত মানুষ বিভিন্ন স্লোগান ও দাবি তুলে ধরে। মিছিলকারীরা নাশকতার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি গণভোটের দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন।

চাঁদপুর সংবাদদাতা : গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর ও সদর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাইতুল আমিন জামে মসজিদ চত্বরে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে পৃথক পৃথক মিছিল এসে সমাবেশ শুরু হয়। পরে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে নতুন বাজার গিয়ে শেষ হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর-হাইমচর আসনের এমপি পদপ্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এডভোকেট মো: শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে একই দিনে ভোট ও গণভোটের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর এই ধরণের ঘোষণায় জাতি হতাশ ও বিস্মিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের আনুকুল্য পেতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মতো জন গুরুত্বপূর্ণ দাবিকে উপেক্ষা করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। এই জাতিকে বোকা মনে করা ঠিক হবেনা। অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের পদক্ষেপ নিন। অন্যথায় জনগণ উল্টোপথে হাঁটা শুরু করতে বাধ্য হবে। যা কারো জন্য মঙ্গলজনক হবেনা।

চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর এড. মো: শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে ও সদর আমীর মাও: আফসার উদ্দিন মিয়াজী পরিচালনায় শহর শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জেলা সভাপতি ইব্রাহিম খলিল। উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম সবুজ।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ইসলাম ও গণতন্ত্র রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী সবসময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের লক্ষ্যে ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোটের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার বাদ জুম্মা ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ভুলতা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ভুলতা, গাউসিয়া সহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজন করা। জামায়াতে ইসলামীর মতে, জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া ছাড়া ২০২৬ সালের নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা মনে করে, গণভোটের মাধ্যমেই এই আইনি ভিত্তি তৈরি হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার,প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে, জাতীয় নির্বাচনের দিনই (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ইতিমধ্যেই ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন, যার মাধ্যমে জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি পেয়েছে। জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠানের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজনকে অগ্রহণযোগ্য এবং গণদাবি উপেক্ষা বলে আখ্যায়িত করে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

এতে নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মমিনুল হক সরকারের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলার জামায়াত ইসলাম সহকারী সেক্রেটারি -আবু সাঈদ মুন্না, নারায়ণগঞ্জ জেলার জামায়াত ইসলাম প্রকাশনা সম্পাদক -মুজিবুর রহমান মিয়াজি, নারায়ণগঞ্জ জেলার জামায়াত ইসলাম আইন বিষয়ক সম্পাদক-এডভোকেট ইসরাফিল, নারায়ণগঞ্জ জেলার জামায়াত ইসলাম

সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ -২ সংসদ সদস্য প্রার্থী -অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা,নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনর সংসদ সদস্য প্রার্থী -জনাব আনোয়ার হোসেন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ জেলার জামায়াত ইসলাম ছাএশিবিরের সভাপতি আকরাম হোসেনসহ আরো অনেকে।

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা : জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, নভেম্বর মাসেই গণভোটের আয়োজন এবং নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামী।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের চক বাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনী শহীদ আফনান চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে তারা অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচন চান, তবে সেটি হতে হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে। সেই লক্ষ্যে নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে তারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে মাঠে আছেন এবং থাকবেন।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে আন্দোলনরত আটটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা গণদাবি জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং জাতি তা মেনে নিয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে, যা দেশের তৌহিদী জনতা কখনোই মেনে নেবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন - জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট নজির আহম্মদ, সেক্রেটারি এ. আর. হাফিজ উল্লাহ, সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর মুরাদ প্রমুখ।

জামালপুর সংবাদদাতা: জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহ আন্দোলনরত সমমান ৮ দলের উদ্যোগে জামালপুর জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিলটি শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় পিটিআই মোড় থেকে শুরু হয়ে জামালপুর পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তমালতলা মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল উত্তর সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা আমীর মুফতি মোস্তফা কামাল ও জামালপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও জামালপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট আব্দুল আওয়াল, ইসলামী আন্দোলন এর জেলা উপদেষ্টা ডাঃ ইউনুস আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা সুলতান মাহমুদ সিরাজী, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এডভোকেট আছিমুল ইসলাম, জেলা যুব ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি মুফতি হামিদুল ইসলাম, জামালপুর শহর শাখার আমীর আল ইমরান সুজন, সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত আমীর মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ছবি ক্যাপশনঃ শুক্রবার বিকেলে জামালপুরে জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলের একাংশ।

মাদারীপুর সংবাদদাতা: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে মাদারীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যেএক বিশাল সমাবেশ ও মিছিল করেছে। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর অঞ্চল টিম সদস্য মাদারীপুর জেলার সাবেক আমীর, মাদারীপুরের ২ আসনের জামায়াত মনোনীত গচপ্রার্থী মাওলানাআব্দুস সোবহান খান। সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর মাওলানা মোখলেছুর রহমান। পরিচালনা করেন জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন।

বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ থেকে মিছিল শুরু হয়ে ইটের পুল গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, জনগণ একই দিনে সংসদ নির্বাচন এবং গণভেট মেনে নেবে না। আবিলম্বে নির্বাচনের আগে গণভোট দেয়ার আহবান জানান।

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : কুচ্ছিায় জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারি নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতসহ ইসলামী সমমনা ৮ দলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বিকালে কুচ্ছিা শহরে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কুচ্ছিা চৌড়হাস মোড় থেকে শুরু হয়ে কুচ্ছিা মজমপুর গেট হয়ে পৌরসভার সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে ৮ দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ গ্রহন করেন। মিছিলে বক্তব্য প্রদান করেন জামায়াতের কুচ্ছিা জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম, ইসলামী আন্দোলনের কুচ্ছিা জেলা সভাপতি আলহাজ¦ আহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কুচ্ছিা জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতিফ খান, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রিয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক সিরাজুল হক, জামায়াতের খোকসা কুমারখালী আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আফজাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বারহাট্টা (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা: নেত্রকোনায় জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ৫ দফার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ ১৪ নভেম্বর শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ শেষে কালেক্টরেট মাঠে নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মো: ইউনুস গত ১৩ই নভেম্বর জাতীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে গণভোট ও নির্বাচন একই দিনে হওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা ৮টি দল সহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মাঠে নামে।

জামায়াতের নেত্রকোনা জেলা আমীর অধ্যাপক মাও. ছাদেক আহমাদ হারিছ এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক জনাব বদরুল আমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের অন্যতম টিম সদস্য ও নেত্রকোনা-২ আসনের সংসদ সদস্য নমিনী অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক, নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাও. মাহবুবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নমিনী অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা, নেত্রকোনা জেলা কর্মপরিষদ সদস্য নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য নমিনী মাওলানা আবুল হাসেম, নেত্রকোনা জেলা অন্যতম কর্মপরিষদ সদস্য সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ নেত্রকোনা জেলা আমীর মাওলানা মো:দেলোয়ার হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সংসদ সদস্য নমিনী অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক বলেন, একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আমরা কখনোই প্রত্যাশা করি না এবং কথা উঠেছে আলাদা গণভোট করলে অনেক টাকা লাগবে আমি শুধু বলতে চাই ঐক্যমত কমিশনের কয়েকদিনে যে বৈঠক হয়েছে বিভিন্ন দলগুলোকে নিয়ে তাতে বিভিন্ন মিডিয়াতে খবর এসেছে আপ্যায়ন খরচ বাবদ প্রায় ৮৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আপ্যায়ন খরচ যদি ৮৩ কোটি টাকা খরচ হয় তাহলে বাংলাদেশে আলাদা করে গণভোট হওয়ার জন্য টাকার অভাব হবে না। তাই আমরা ৮ দল জামায়াতে ইসলামী সহ দাবি করি আগে গণভোট ও পরে জাতীয় নির্বাচন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হউক এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

আলোচনা শেষে বিক্ষোভ মিছিল টি কালেক্টরেট মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

যশোর সংবাদদাতা: জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা শাখা। শুক্রবার (১৪ নভেম্বার) বিকেলে যশোর ঈদগাহ মোড়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে এই পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল।

সমাবেশে অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবে একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজন করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জনগণের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি দাবি করেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই আলাদা দিনে গণভোট আয়োজন বাধ্যতামূলক।

সমাবেশে জেলা জামায়াত পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে।জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে আলাদা দিনে গণভোট আয়োজন: জুলাই সনদের বৈধতা ও জনমত যাচাইয়ের স্বার্থে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে পৃথকভাবে গণভোট আয়োজনের দাবি জানানো হয়। জুলাই সনদের পূর্ণ আইনি স্বীকৃতি প্রদান: নথিটি যাতে রাজনৈতিক সমঝোতার বাইরে গিয়ে সাংবিধানিক মর্যাদা পায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় আইন পাসের দাবি জানানো হয়।

সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা। জামায়াতের অভিযোগ, জুলাই সনদকে দুর্বল করার নানা প্রচেষ্টা চলছে। তারা সমস্ত তামাশা ও প্রভাব বিস্তার বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা । জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের ওপর রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধাহীনতা ।বিক্ষোভ, সমাবেশ, সভা ও রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে প্রশাসনের সহযোগিতা এবং প্রতিহত না করার দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্য , জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আবু জাফর সিদ্দীকী বলেন, জনগণের মতামত ছাড়া কোনো সিদ্ধান্তই দেশের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। তাই গণভোট ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, মাও: রেজাউল করিম, প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দীন বিশ্বাস অফিস সেক্রেটারি নূর-ই-আলা নূর মামুন বক্তব্যে দাবি করেন যে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জনগণের অংশগ্রহণই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যশোর-৫ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. গাজী এনামুল হক বলেন, গণভোটে জনগণের রায়ই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। জনগণের কাছে যাওয়ার অধিকার কোনো দল বা সরকারের হাতে বন্দী থাকতে পারে না। শহর আমীর অধ্যাপক শামসুজ্জামান, মনিরামপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফজলুল হক, চৌগাছা উপজেলা আমীর মাওঃ গোলাম মোরশেদ এবং যশোর-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ভিপি আব্দুল কাদেরও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল যশোর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আয়োজকরা জানান, জনগণের মতামত প্রতিফলিত করতে পাঁচ দফা দাবির পক্ষে তারা ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা: জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, জাতীয় নির্বাচনের পূর্ব গণভোটসহ ৫দফা দাবী আদায়ের লক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী হবিগঞ্জ জেলা। শুক্রবার সকালে স্থানীয় টাউনহল সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী মহসিন আহমদের সভাপতিত্বে ও পৌর আমীর আতিকুল ইসলাম সোহাগের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি এডভোকেট নজরুল ইসলাম,মাওলানা আব্দুর রউফ বাহার, আজমিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নাছির উদ্দিন চৌধুরী, ছাত্র শিবিরের জেলা সেক্রেটারি লায়েক আহমদ, মাধবপুর উপজেলা সেক্রেটারি এইচএম মোস্তুফা কামাল, সদর উপজেলা সেক্রেটারি এসএম নাদির শাহসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ শেষে কোর্ট মসজিদ সামনে এসে শেষ হয়। সমাবেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গনভোটসহ অবিলম্ভে ৫ দফা দাবীপূরণ করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

পাবনা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও জামায়াত মনোনীত পাবনা-৫ (সদর উপজেলা) আসনের এমপি প্রার্থী প্রিন্সিপাল ইকবাল হুসাইন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে । তিনি গতকাল শুক্রবার জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে পাবনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। পাবনা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি ৮ দলের পাঁচ দফা দাবিতে দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার বিকেলে পাবনা শহরের চাঁপা মসজিদ থেকে এক বিক্ষোভ বের হয়, মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রশিক্ষণ শেষে শহীদ চত্বরে এসে সমাবেশের রূপ নেয়। পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক খানের সঞ্চালনায় অধ্যাপক আব্দুল গাফফার খান এর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান পাবনা পৌর জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফ, সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল আইনুল প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাবনা সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রব, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহকারি সেক্রেটারি একরামুল হক, ৮ নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুস সামাদ ৬ নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ৭ নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল্লাহ।

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা: ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী অপশক্তি ফের দেশে গুপ্ত হামলা, জ্বালাও-পোড়াও ও নাশকতার ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে মেতে উঠেছে। এর ফল ভালো হবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগকে আর মাঠে নামতে দেয়া হবে না।’

সিরাজগঞ্জ ৩ তাড়াশ রাযগঞ্জ সলঙ্গা আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শায়েখ ড.প্রফেসর মাওলানা আঃ সামাদ বলেছেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী অপশক্তি ফের দেশে গুপ্ত হামলা, জ্বালাও-পোড়াও ও নাশকতার ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে মেতে উঠেছে। এর ফল ভালো হবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগকে আর মাঠে নামতে দেয়া হবে না। সিরাজগঞ্জ হচ্ছে শান্তি ও সম্প্রীতির নগরী। এখানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর দুঃসাহস করবেন না। সিরাজগঞ্জের জনগণ রুখে দাড়াবে এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।’

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বাদ জুমআ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সাকুয়া দিঘি এলাকায় পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী কর্তৃক দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার প্রতিবাদে এবং জুলাই সনদের আইনিভিত্তি ও গণভোটের দাবিতে জামায়াত আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই কথা বলেন।

ড. আঃ সামাদ বলেন, ‘অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে একই দিনে ভোট ও গণভোটের ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ধরণের ঘোষণায় জাতি হতাশ ও বিস্মিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের আনুকুল্য পেতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মতো জন গুরুত্ব¡পূর্ণ দাবিকে উপেক্ষা করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। এই জাতিকে বোকা মনে করা ঠিক হবে না। অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের পদক্ষেপ নিন। অন্যথায় জনগণ উল্টোপথে হাঁটা শুরু করতে বাধ্য হবে। যা কারো জন্য মঙ্গলজনক হবে না।’র্

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- তাড়াশ উপজেলা জামায়াতের আমীর খম সাকলায়েন নওগাঁ ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান সেক্রেটারি, অধ্যাপক ফরিদুল ইসলাম,

ড. আঃ সামাদ বক্তব্যে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা আমাদের নিরপরাধ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়ে শহীদ করেছে। আর এখন সেই হাসিনা তার চৌদ্দগোষ্ঠীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এটাই আল্লাহর বিচার। এবার হাসিনার জন্য ফাঁসির রশি অপেক্ষা করছে। শেখ হাসিনা ও ভারত টাকা পয়সা দিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের উস্কানি দিয়ে মাঠে নামিয়ে গণধোলাইয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এদেশে শেখ হাসিনা আর ফিরবে না।’