বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য ডক্টর, এ,এইচ,এম, হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার বুকের সামনে ফ্যাসিবাদী শক্তির বুলেট বন্ধ হয়েছিল। প্রায় ২ হাজার মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত সফলতা কখনো বৃথা যেতে পারেনা। ৩৬ দিনের গণ আন্দোলনে ১৭ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করে রাজনৈতিক যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেই পরিবেশ কে কাজে লাগিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সচেতন নাগরিকদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল নিজ নিজ দায়িত্বের জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। তাই পরকালীন মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যে যে পেশায় থাকিনা কেনো সমাজের নিজের অবস্থান থেকে প্রত্যেক কে সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান।

গত মঙ্গলবার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। বড় মহেশখালী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মো. জালালের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন সেক্রেটারি মৌলানা এনামের সঞ্চালনয় মহেশখালী সরকারি মহিলা কলেজের হল রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামি কক্সবাজার জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মো. জাকের হোছাইন, ব্যাংক কর্মকর্তা শহিদুল ইমরান, সাবেক প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আব্দুল মাজেদ, প্রধান শিক্ষক মাষ্টার হুমায়ুন কবির আযাদ, ব্যবসায়ি জাবেদ ইকবাল, সহ স্থানীয় বিশিষ্ট বর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে বিভিন্ন পেশার ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পেশাজীবি কমিটি গঠন করা হয়। সাবেক প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আব্দুল মাজেদ সভাপতি, সহসভাপতি হিসেবে অবসর প্রাপ্ত মাষ্টার আ,স,ম,ছিদ্দিক, এডভোকেট রেজাউল করিম, কন্ট্রাক্টর আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হুমায়ূন কবির আযাদ, সহ সাধারণ সম্পাদক, আশরাফু জজামান কোম্পানি, সাংগঠনিক মৌলানা কামাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মৌলানা এখলাছুর রহমান, অর্থ সম্পাদক, বদরুদ্দোজা, প্রচার সম্পাদক, নুরুল ইসলাম মেম্বার, প্রচার সম্পাদক, আব্দুল মোতালেব বাকি ৩৯ জনকে সদস্য করা হয়। বক্তব্য প্রদান করেন, সাবেক উপজেলা আমির ডাক্তার আব্দুল আজিজ, মৌলানা আবু সৈয়দ নুরী, সমাজ সেবক মো. মাহবুবুর রহমান। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।