বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান জাতীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক, ডাক্তার, সাংবাদিক, গবেষক, ব্যবসায়ী ও সমাজের বিভিন্নস্তরের অংশীজনদের সম্মানে গতকাল শনিবার বিকালে বাংলাদেশ চীনমৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আসুন জাতীয় স্বার্থের জায়গায় আমরা এক হয়ে যাই। আমাদের মতের ভিন্নতা থাকবে, মতপার্থক্য থাকা কোন অপরাধ নয়, কিন্তু মতপার্থক্য যেন মতবিরোধে রূপান্তরিত না হয়। আমরা মতপার্থক্যকে স্বাগত জানাই, কিন্তু আমরা মতবিরোধ চাই না। দেশকে গড়ার স্বপ্ন ও পলিসি আমরা জাতির সামনে তুলে ধরবো। জাতি যারটা গ্রহণ করবে, যার প্রতি ভালোবাসা ও আস্থা তৈরি হবে, সেই দল বা জোটকেই জাতির দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিবে। তিনি উল্লেখ করেন, আমরা চাই, আওয়ামী জাহেলিয়াত আর যেন বাংলাদেশে ফিরে না আসুক।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস, বিএনপি নেতা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট জয়নাল আবদীন, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মুনতাসিম বিল্লাহ মাদানী, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এনপিপির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ফরহাদুজ্জামান ফরহাদ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, নেজামি ইসলাম পার্টির আমির সারোয়ার কামাল আজিজি, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ, মুসলিম জনতা ঐক্য পরিষদের আমির আজিজুল হক আজিজ হবিগঞ্জী, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুসাবিন ইজহার, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, মাওলানা শায়েখ কামাল উদ্দীন জাফরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, খেলাফত মজলিস মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক মাওলানা আশরাফ আলি আকন, মহাসচিব মাওলানা এনামুল হক মুসা, বাংলাদেশ আইম্মা পরিষদ, পীরজাদা মাও নেসারুল হক, সভাপতি, জাতীয়তাবাদী ওলামা দল, মুফতি ইজহারুল হক, চেয়ারম্যান, ইসলামী ঐক্যজোট একাংশ, মুফতি ইয়ামিন, মহাসচিব, জনসেবা আন্দোলন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি মাওলানা কাজী ইব্রাহিম, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মুফাজ্জল হোসেন খান, মাওলানা তাওহিদুল আনোয়ার, পরিচালক, ইসলামি ফাউন্ডেশন, মুফতি সাঈদ আহমাদ মোজাদ্দেদী, চেয়ারম্যান, শরীয়াহ সুপারভাইজার কমিটি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী হারুন, ইসলামী ব্যাংকের ইসি চেয়ারম্যান খোরশেদুল হক ও পরিচালক আবদুল জলিল, বিশিষ্ট সাংবাদিক দৈনিক সংগ্রামের সাবেক সম্পাদক আবুল আসাদ, দৈনিক নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন ও নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী, মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক বাহাউদ্দিন, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আযম মীর শাহীদুল আহসান, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, দি নিউনেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, কালবেলা পত্রিকার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, , ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম ও সাবেক সাধারণ সরদার ফরিদ আহমদ, দৈনিক সংগ্রামের বার্তা সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন, চীফ রিপোটার সামছুল আরেফীন, সাপ্তাহিক সোনার বাংলার বার্তা সম্পাদক ফেরদাউস আলম ভূঁইয়া, চীফ রিপোর্টার হারুন ইবনে শাহাদাত মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের অতিরিক্ত চীফ প্রসিকিউটর মিজানুর রহমান, সাবেক সচিব ড. মিয়া মুহাম্মাদ আইয়ুব, সাবেক সচিব ফজলুর রহমান, কর্নেল আইয়ুবুর রহমান, পেট্রো বাংলার এমডি কামারুজ্জামান, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল হক, ইবনে সিনা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নাসের মুহাম্মাদ আব্দুজ্জাহের, কৃষিবিদ কামাল উদ্দিন, বারির সাবেক মহাসচিব কৃষিবিদ ড. শহিদুল ইসলাম, বিএলআরআই এর সাবেক পরিচালক ড. মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম, বিজেডিএস এর সাবেক ডিজি ড. আবদুল জব্বার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমএ হান্নান, কৃষিবিদ সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান রিন্টু।
আমীরে জামায়াত তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার ৫৩টি বছর কেটে গেলো। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে প্রিয় দেশটি স্বাধীন হয়েছিল, সকলেই বলে এই প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হইনি। কেন হইনি, আজকে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করার অবকাশ নেই। তবুও সরল স্বীকারোক্তি হচ্ছে, আমরা আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিকে এক জায়গায় মিলাতে পারিনি। তিনি বলেন, একটি ন্যায় ইনসাফের বাংলাদেশ, একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, একটি নিরাপদ বাংলাদেশ এই এতুটুকুই আমাদের চাহিদা ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই চাহিদা পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে অন্যায় অপকর্ম জুলুম চলে আসছে। কখনও কম, কখনও বেশী। তবে জুলুম কখনও বন্ধ হয়নি। জুলুম থেকে জাতি মুক্তিও পায়নি। তিনি বলেন, মাত্র ২দিন আগে সারা বাংলাদেশের মানুষকে কাঁদিয়ে ৮ বছরের একটি শিশু, শব্দহীন কন্ঠে বলে গেছে, লজ্জা এই সমাজ, লজ্জা এই দেশ, লজ্জা এই জাতির। আমরা ৮ বছরের একটি শিশুর ইজ্জতের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। রাষ্ট্রের একার পক্ষে সম্ভব নয়, ঘরে ঘরে পুলিশ পাঠিয়ে এই ধরনের অপকর্ম বন্ধ করা। রাষ্ট্র যদি তার নাগরিককে মানবিক ও সুশিক্ষা দিতে পারে, সেই সুশিক্ষাই সমস্ত কুসংস্কার ঠেকিয়ে দিতে পারে। আমাদের অভাবটি হচ্ছে সেই জায়গায়, আমাদের শিক্ষিত লোকের কোন অভাব নেই, নৈতিক শিক্ষার অভাবেই এই সংকট দেখা দিয়েছে। দোয়া করি আগামীর বাংলাদেশ যেন নৈতিক শিক্ষা নির্ভর বাংলাদেশ হয়। তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। মেরুদন্ড মজবুত হলে, শক্তিশালি হলে, জাতিও শক্তিশালী হবে। এখন না আছে নৈতিক মান, না আছে জাগতিক মান।
আমীরে জামায়াত বলেন, আমরা সাড়ে ১৩টি বছর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে শত শত কার্যালয়ের একটিতে বসেও কাজ করতে পারিনি। সবগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল। একে একে শীর্ষ ৫ নেতৃবৃন্দকে পাশবিক কায়দায় মিথ্যা অভিযোগ, বিচারিক হত্যাকান্ডের মুখোমুখি করে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আরো ৬ জনকে জেলে ঢুকিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। আর ১ জন মৃত্যুর যন্ত্রণা কাঁধে নিয়ে এখনও জেলে বেঁচে আছেন। তিনি আমাদের ভাই এটিএম আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মজলুমরা মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু আমার ভাই এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনও মুক্তি পানিনি। আমরা এই পাথর বুকে বহন করে চলছি। আইনের প্যাচ দিয়ে কেন এই বিলম্ব আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা চাই যাদের উপর জুলুম হয়েছে, তাদের একজনও জেলের ভিতরে না থাকুক। অবিলম্বে আমাদের ভাইকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেয়া হোক। তিনি আরো বলেন, শুধু ১১জন দায়িত্বশীল নেতা নন, শত শত কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য যুবককে থানায় ধরে নিয়ে গুলী করে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। হাত কেটে ফেলা হয়েছে, চোখ তুলে নেয়া হয়েছে, গুম করা হয়েছে। বাড়িঘর বুলডুজার দিয়ে তছনছ করা হয়েছে।
আমীরে জামায়াত বলেন, ২৪ এর গণবিপ্লবের পর জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষ সকলের প্রতি আহ্বান জানাই, আসুন জাতীয় স্বার্থের জায়গায় আমরা এক হয়ে যাই। আমাদের মতের ভিন্নতা থাকবে, মতপার্থক্য থাকা কোন অপরাধ নয়, কিন্তু মতপার্থক্য যেন মতবিরোধে রূপান্তরিত না হয়। আমরা মতপার্থক্যকে স্বাগত জানাই, কিন্তু আমরা মতবিরোধ চাই না। দেশকে গড়ার স্বপ্ন ও পলিসি আমরা জাতির সামনে তুলে ধরবো। জাতি যারটা গ্রহণ করবে, যার প্রতি ভালোবাসা ও আস্থা তৈরি হবে, সেই দল বা জোটকেই জাতি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, একটা জায়গায় আমরা সকলে একমত, গত সাড়ে ১৫ বছরে সংবিধানসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে জঞ্জাল তৈরি হয়েছে, তার কতিপয় জিনিস অবশ্যই পরিষ্কার হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে দলমত কারো কোন দ্বিমত নেই। কেউ বলে না যে, সংস্কারের প্রয়োজন নেই। কতটুকু প্রয়োজন সেটা নিয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু সংস্কার যে প্রয়োজন এই নিয়ে মতপার্থক্য নেই। তিনি বলেন, আমরা মন থেকে সব সময় বলে আসছি, আমরা সরকারকে সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দিতে চাই। যৌক্তিক সময় মানে অযৌক্তিক সময় কাটানো নয়, আবার চাপ দিয়ে তাড়াহুড়া করাও নয়। মৌলিক সংস্কারের জন্য যেটুকু সময় প্রয়োজন, আমরা সরকারকে সে সময়টুকুই দিতে চাই। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার প্রধান এ ব্যাপারে কিছু কথা বলেছেন, আশা করি তিনি অবিলম্বে আরো স্পষ্ট করবেন। এতে জাতি আরো আস্থাশীল হবে, আশাবাদী হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে গড়ার একক দায়িত্ব কোন দলের নয়। বাংলাদেশকে গড়ে তোলার দায়িত্ব ১৮ কোটি মানুষের।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গত রমযানে রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক হোটেল সোনারগাও এ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল চলাকালে ফ্যাসিবাদী সরকারের এজেন্সিরা ভন্ডুল করার অপচেষ্টা করেছিল। আল্লাহর সাহায্যে, আমীরে জামায়াতের দৃঢ়তায় ইফতার মাহফিল সস্পন্ন করার তৌফিক দান করেছিলেন।
এ ইফতার মাহফিলে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল ও এডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, সাইফুল আলম খান মিলন ও মুবারক হোসাইন, জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এড. জসিম উদ্দিন সরকার, এডভোকেট মশিউল আলম, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি শাজাহান চৌধুরী, গাজীপুর মহানগরী আমীর অধ্যাপক মোঃ জামাল উদ্দিন, কুমিল্লা মহানগরী আমীর কাজী দ্বীন মুহাম্মাদ, ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সাত্তার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আলী হোসেন এবং জামায়াত-শিবিরের শহীদ ও মজলুম নেতাদের পরিবারের সদস্যগণ এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের বেশ কয়েকটি শহীদ পরিবারের সদস্যগণ ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছেন।
মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে ইফতার মাহফিল শুরু হয়। ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে আমীরে জামায়াত মাহফিলে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে দেশ ও জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে আল্লাহর নিকট দোয়া করেন।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ইফতার মাহফিল সঞ্চালনা করেন।