দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। গতকাল শুক্রবার এক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই দাবি জানান। তিনি বলেন, আমরা অস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আর বিলম্ব নয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্যারের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগের মধ্যে নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনকে যে রিকোয়েস্ট করেছেন। এখন আমরা চাই, অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা-বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নানা ধরণের বক্তব্যের সমালোচনা অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আপনারা বলেন, পিআর না হলে নির্বাচনে যাব না। আপনি যে এই কথাটি বলেন, এই কথাটির ইমপ্লিকেশন চিন্তা করেছেন। আজকে যদি নির্বাচন প্রলম্বিত হয়, নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয়, নির্বাচন যদি যথাসময়ে না হয় তাহলে লাভ কাদের? লাভ হচ্ছে, পতিত স্বৈরাচারে রেখে যাওয়া যে সমস্ত এই সুবিধাভোগীরা আজকে প্রশাসনে বলেন, বিচারালয়ে বলেন, ব্যবসা কেন্দ্রে বলেন, সর্বত্র ছড়িয়ে আছে তাদের। জাহিদ বলেন, দয়া করে দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন, রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করুন। কোন অবস্থাতেই গায়ের জোরে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, যারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলেন, বাংলাদেশ কি এটা বহন করতে পারবে? তিনদিন পরপর সরকার পরিবর্তন হবে, ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হবে ক্যান ইউ থি অফ ইট? বাংলাদেশের মানুষ জানে, সে কাকে ভোট দিতেছে? কে তার প্রতিনিধি? কে তার জন্য কাজ করবে? এলাকার জন্য উন্নয়নের জন্য কাজ করবে? মানুষ তাকে দেখতে চায়ভ মানুষের মেন্টাল মেকআপ হচ্ছে এই ধরনের। অধ্যাপক জাহিদ বলেন, আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচনই একমাত্র পথ। এখন সমস্যাটা হয়ে গেছে, আমরা সবাই বিচার মানি তাল গাছটা আমার, এটা আমাদের একটা মানসিকতা হয়েছে আরকি। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মাহবুব হোসেন, আবুল কাশেম চৌধুরী, গাজী মোশাররফ হোসেন, আজহারুল ইসলাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।