ইবরাহীম খলিল রংপুর থেকে : বর্তমানে দেশে যে পরিবেশ বিরাজ করছে তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় মন্তব্য কবোংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন আপনারা দেখেছেন পাটগ্রামে কি হয়েছে এবং কি হচ্ছে। পুরো বাংলাদেশকে পাটগ্রাম বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। এই অবস্খায় কখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করা যায় না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কতগুলো মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। আমরা সেই সংস্কারগুলোর কথা বলেছি। আমরা সংস্কার আদায় করে ছাড়বো, সুষ্ঠু নির্বাচনও আদায় করে ছাড়বো ইনশা আল্লাহ।

WhatsApp Image 2025-07-04 at 22.00.58_7cb9876d

রংপুর জেলা হাইস্কুল মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন রংপুর মহানগর আমীর এটিএম আজম খান। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ও মৃত্যুদন্ড থেকে খালাসপ্রাপ্ত সদ্য কারামুক্ত নেতা এটিএম আাজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন ও রাজিবুর রহমান পলাশ। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক কর্মপরিষদ সদস্য ও অঞ্চল পরিচালক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল ও রংপুর অঞ্চলের সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম রাজু সংসদ সদস্য প্রার্থী, লালমনিরহাট- ০১ আসন, এডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু সংসদ সদস্য প্রার্থী, লালমনিরহাট- ০২ আসন, হারুন অর রশিদ,সংসদ সদস্য প্রার্থী, লালমনিরহাট- ০৩ আসন,অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম সংসদ সদস্য প্রার্থী, কুড়িগ্রাম- ০১ আসন,অ্যাড. ইয়াসিন আলী সরকার,সংসদ সদস্য প্রার্থী, কুড়িগ্রাম- ০২ আসন, মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল সংসদ সদস্য প্রার্থী, কুড়িগ্রাম- ০৪ ,অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, সংসদ সদস্য প্রার্থী, গাইবান্ধা- ০১ আসন,মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু,সংসদ সদস্য প্রার্থী, গাইবান্ধা- ০৩ আসন,ডাক্তার আব্দুর রহিম সংসদ সদস্য প্রার্থী, গাইবান্ধা- ০৪ আসন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেস, সংসদ সদস্য প্রার্থী, গাইবান্ধা- ০৫ আসন,মাওলানা নুরুল আমীন,সংসদ সদস্য প্রার্থী, রংপুর- ০৬ আসন,ফিরোজ মাহমুদ,সভাপতি, রংপুর জেলা ছাত্রশিবির,সোহেল রানা,সভাপতি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,গোলাম জাকারিয়া কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির,মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,ডাক্তার নজরুল ইসলাম,সভাপতি, এন.ডি.এফ,মো. আব্দুস ছাত্তার শাহ,সভাপতি এফ.ডি.ই.বি,অ্যাড. আবু তাহের,জেলা আমীর, লালমনিরহাট জেলা,বেলাল উদ্দীন প্রধান,জেলা আমীর, ঠাকুরগাঁও জেলা,ইকবাল হোসেন,জেলা আমীর, পঞ্চগড় জেলা, মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী,জেলা আমীর, কুড়িগ্রাম জেলা, মাওলানা আব্দুস সাত্তার,জেলা আমীর, নীলফামারী জেলা. আব্দুল করিম সরকার,জেলা আমীর, গাইবান্ধা জেলা,অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান,জেলা আমীর, দিনাজপুর জেলা,আজীজুর রহমান সরকার, অঞ্চল টিম সদস্য,রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল,আব্দুর রশিদ,অঞ্চল টিম সদস্য,রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল,মাওলানা আব্দুল হাকীম,অঞ্চল টিম সদস্য,রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কেউ যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের স্বপ্ন দেখে থাকেন, আমরা বলবো মহান আল্লাহর সাহায্যে আমরা সেই স্বপ্ন দু:স্বপ্নে পরিণত করবো। এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। কোন প্রশাসনিক ক্যু করতে দেওয়া হবে না। কোন মাস্তানতন্ত্র চলবে না, কোন কালো টাকার খেলা সহ্য করা হবে না। মনে রাখতে হবে আবু সাঈদদের সঙ্গীরা কয়েক শত বিদায় নিয়েছে। শিক্ষা দিয়ে গেছে। আওয়াজ দিয়ে গেছে। আমাদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে। বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তার স্লোগান দিয়েছে আবু সাঈদ ম্গ্ধু শেষ হয়নি যুদ্ধ।

তিনি বলেন, রংপুরবাসী আপনারা বড়ই সোৗভাগ্যবান। বিশাল আন্দোলনের আইকনিক পারসন আপনাদের বুকের সন্তান আবু সাঈদ। তার গর্বিত পিতা এখাানে বসে আছেন। আবু সাঈদের সঙ্গীদের আরেকবার জেগে ওঠার আব্হান জানিয়ে জামায়াতের আমীর বলেন, তোমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়ে রেখে যেতে চাই। যুবকদের হাতগুলো যেন মজবুত থাকে। নির্বাচনে অপকর্ম করার সুযোগ যেন কেউ না পায়। জনগণের ভোটে যারা নির্বাচিত হবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদেরকে অভিনন্দন জানানোর জন্য এখনই প্রস্তুত। আল্লাহ যদি এই জাতির জন্য আমাদের কবুল করেন তাহলে এই যুবকদের বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাবো ইনশা আল্লাহ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন সমাজের স্বপ্ন দেখি যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবে না। আমরা কথা দিচ্ছি, বাংলাদেশের সংবিধান নাগরিককে যে অধিকার দিয়েছে তার পাহারাদার হবো ইনশা আল্লাহ। ওরা মালিক হয়েছিল আমরা সেবক হবো।

নির্বাচনের কিছু বিষয় জাতির সামনে উপস্থাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রবীন এই রাজনীতিবিদ বলেন, সেই বিষয়গুলো এখনই আমরা খোলাসা করতে চাচ্ছি না। তখন বুঝতে পারবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামিতে কি ধরণের সমাজ গড়তে চায়। আমরা মদিনা শাসনের আদলের বাংলাদেশ দেখতে চাই। তিনি আরও বলেন, খেলাফতের কথা বললে অনেককে শুনানো হয় , ঘর থেকে বের হতে পারবা না, মন মতো পোশাক পড়তে পারবা না, যা ইচ্ছা তাই বলতে পারবা না। পর নারীর ইজ্জত লুণ্ঠন করলে জীবন থাকবে না। তিনি বলেন, কেউ ক্ষুধার জ¦ালায় চুরি করলে রাষ্ট্র তার হাত কাটবে না। রাষ্ট্র আগে তার পেটের আগুন নেভানোর চেষ্টা করবে।

জামায়াতের আমীর বলেন, মব কালচার দেশে নতুন নয়। ১৯৭২ সাল থেকে মব চলছে। ৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে নারীদের স্তন কেটে মালা বানিয়ে গলায় পরেছে এমন কুলাঙ্গার এখনো বাংলাদেশে জীবিত আছে। সে নারী যেই হউক সে আমার মা, সে আমার বোন , সে আমার মেয়ে। তার স্তন কাটাতো দূরে কথা তার ইজ্জতে হাত দেওয়ার অধিকার আমার আল্লাহ কাউকে দেননি। তিনি প্রশ্ন রাখেন সেগুলো কি মব ছিল না ? জীবন্ত মানুষকে খুচিয়ে খুচিয়ে বেওনেট দিয়ে মুবি ক্যামেরার সামনে হত্যা করা হয়েছে। সেগুলোও মব ছিল। তাই বলে আমরা মবকে সমর্থন করবো না। কোন নাগরিক আইন হাতে তুলে নিতে পারে না।

তিনি ২৪ সালে হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, এদের বিচার নিশ্চিত করা হলে জনগণের ওপর এরকম নোংরা হামলা চালানোর দু:সাহস কেউ দেখাবে না। তা না হলে অবিচারের সংস্কৃতির কারণে বাংলাদেশ জঙ্গলে পরিণত হবে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, বহু ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কথা শুনতে পাচ্ছি, আলামত দেখতে পাচ্ছি। স্মরণ করিয়ে দেই, শেখ হাসিনা ক্যাডার নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল। কিন্তু যখন জন বিস্ফোরণ হলো তখন তাকে আর কেউ রক্ষা করতে পারেনি যে জনগন এত মূল্য দিয়ে একটা ফ্যাসিবাদ তাড়িয়েছে সেই জনগণ আরেকটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দিবে না। আমরা কথা দিচ্ছি ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। দোয়া করুন এই পথে সকল দেশপ্রেমিক এবং ইসলামিক দল এক ¯্রােতে মিলিত হচ্ছে। আপনারা দোয়া করুন এই ¯্রােতের প্লাবন সমাজের সব আবর্জনাকে যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তিনি এটিএম আজহারুল ইসলামকে রংপুর বাসীর কাছে ন্যাস্ত করেন।

প্রধান বক্তা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে ছিলাম। আমি ফাসিতে ঝুলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আল্লাহ তায়ালা ফাঁসির মঞ্চ থেকে লক্ষ জনতার মঞ্চে নিয়ে এসেছেন। সবই আল্লাহ পাকের রহমত। আল্লাহ আমাকে মুক্ত করেছেন। আমি পরিবার থেকে সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন ছিলাম। আমার স্ত্রী আমি কারাগারে থাকা অবসথা ইন্তেকাল করেছেন। আমার ছেলেকেও আমার সাথে গ্রেফতার করেছিল। আমি বললাম বাবা তুমি দেশের বাইরে চলে যাও। নয়তো তোমাকে গুম করবে হত্যা করবে।

তিনি বলেন আজ যে স্কুলের মাঠে দাঁড়িয়ে কথা বলছি সেটা আমার প্রাণপ্রিয় স্কুল। এস্কুল থেকে আমি এসএসসি পাশ করেছি। রংপুরে আমার কিশোর যুবক বয়স কেটেছে। রংপুরের জনগণ কেউ বলতে পারবে না আমি কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলাম। আমি কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলাম না। কিন্তু আমাকে অপরাধি বানানো হলো। যারা সাক্ষী দিয়েছেন তারা বলেছেন আমাদের জোর জবরদস্তি করে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আজ আমার কারো প্রতি কোন ক্ষোভ নাই দু:খ নাই। আমি চাই আমার অঞ্চল আমার দেশ মানুষের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য।

এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ। তার বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে যে অভ্যূত্থান শুরু হয়েছিল, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে ৫ই আগস্ট। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট না হলে আপনারা আমার জানাজা পরতেন। পরতে পারতেন কি-না জানি না। আমি তার হত্যাকারীদের বিচারের সম্মুখীন করার দাবি জানাই।

তিনি বলেন, আমি যাদের সাথে কাজ করেছি তাদের হত্যা করা হয়েছে। মাওলানা নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদসহ অন্যদের বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। যারা বিচারের নামে অবিচার করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। অধ্যাপক গোলাম আজম, মাওলানা সোবহান মাওলানা সাঈদীকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন যারা যুদধাপরাধ করে তারা কিভাবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় ? এই বিচারের সাথে জড়িত ছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমার রায়ের মাধ্যমে এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পায়নি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘ অপবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে ন্যায়ভ্রষ্ট রায়। আইনটাই বেআইনী। রায়ের মাধ্যমে আমি মুক্তি পেয়েছি। ইসলামী আন্দোলনও মুক্তি পেয়েছে।

এটিএম আজহারুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট আমি জেলখানায় ছিলাম। কল্পনাও করতে পারিনি যে হাসিনা পালাতে বাধ্য হবে। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? মনে হলো যে আল্লাহ সরাসরি বিপ্লব ঘটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। মনে হলো লক্ষ লক্ষ লোক আবাবিল পাখির মতো রাজপথে হাজির হয়েছে। যার পতন হয়েছে তিনি বলতেন, শেখের বেটি পালায় না। তিনি বলেন, আমরা পালাইনি। আমাদের কোন নেতা পালায়নি। আপনি আসল ঠিকানায় পালিয়েছেন।

উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন কারা দেশকে ভালবাসে? কারা দেশের জন্য কাজ করে। যারা পালিয়ে যায় তারা নাকি বিদেশ থেকে ফিরে মৃত্যুর মুখোমুখী হয় তারা। আজ বাংলাদেশের জনগণকে চিন্তা করতে বলবো। আগামি দিনে আমাদের চিন্তা করতে হবে কার হাতে দেশ নিরাপদ। কারা দেশের মঙ্গল চায়।

তিনি বলেন, এই যে বেঁচে গেলাম, এটাতো এক্সটেনশন। আমি ঘোষণা করতে চাই। আমি ছাত্রজীবন থেকে ইসলামী আন্দোলন করি। জনগণের জন্য কাজ করি। আমার বর্ধিত জীবনটা আল্লাহর দ্বীনের জন্য ওয়াকফ করতে চাই। আমি অনুরোধ করবো দুনিয়া ক্ষণসথায়ী। সবাইকে মরতে হবে। আমার জন্য অপেক্ষা করছে দুটি জিনিস জান্নাত আর জাহান্নাম। আমরা যারা জান্নাতে যেতে চাই তাদের আল্লাহর দ্বীন কায়েমের চেষ্টা করতে হবে। আসুন জামায়াতে ইসলামীর সাথে মিলে দেশে দ্বীন কায়েমের চেষ্টা করি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে আরও কঠোর আন্দোলন করতে হবে। আমরা আর মানুষের মতবাদের আইনে সংসদ চলতে দিতে চাই না। আমরা এতো দিনেও উই ওয়ান্ট জাস্টিস পাইনি। তিনি বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাসুল সা: এর মতো রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে বেইনসাফি থাকবে না।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আবু সাঈদ বুক পেতে ফ্যাসিবাদ বিদায় করেছে। তার হত্যাকা- জাতির জীবনে নতুন শিহরণ তুলেছিল। তিনি বলেন এখন সময় এসেছে সেই ভাবনার যে, মানব রচিত সংবিধান দিয়ে ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না। দেশপ্রেমিকদেও সংসদে পাঠাতে হবে। তিনি রংপরে দাড়িপাল্লার পক্ষে জোয়ার তোলার আহ্বান জানান।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, বিনা বিচারে যারা জামায়াত নেতাদের ফাসি দিয়েছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী স্টাইলে আর নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তিনি স্খানীয় সরকার নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে করাার দাবি জানান।

মাওলানা আব্দুল হালিম রংপুর বাসীর পক্ষে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এগ্রি ইউনিভার্সিটি, ইঞ্চিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের দাবি জানান।

ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুলাই ঘোষনাপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়ে বলেন,ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিডিআর কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে। শাপলা চত্বরে আলেমদের হত্যা করেছে। আয়না ঘর বানিয়েছে। উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করেছে। তিনি এসব কিছুর বিচার দাবি করেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে ভিন্ন ধর্মের লোকজন শান্তিতে বসবাস করবে। নারীরা সম্মান নিরাপত্তা পাবে।

ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র জামায়াতে ইসলামী-ই দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব তৈরি করে। ##