বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খুলনা অঞ্চল পরিচালক প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। দীর্ঘ স্বৈরাচারি সরকারের পতনের পর একটি বৈষম্যহীন ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য এদেশের মানুষ একটি অংশগ্রহণ মূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা আশা করি তাদের পবিত্র ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এই দাবি আদায় করবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, ভোট একটি পবিত্র আমানত। এই আমানতের হেফাজতে দায়িত্বশীল প্রতিনিধি ও ত্যাগী কর্মীদের প্রয়োজন। আমাদের নেতাকর্মীদেরকে দেশ ও জাতির স্বার্থে জনতার আস্থাভাজন হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ইসলামী মূল্যবোধে গঠিত আদর্শ সমাজ গঠনে তৃণমূল প্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম। আল্লাহর বিধান সমাজে বাস্তবায়ন ও জুলুম-অনিয়ম প্রতিরোধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রভিত্তিক প্রতিটি সদস্যকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহবান জানান।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে খুলনা-৩ আসনের ভোট কেন্দ্র প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।

এ সময় প্রধান অতিথি আগামী নির্বাচনে সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে ভোট কেন্দ্রভিত্তিক সংগঠন ও সমন্বয় কাঠামো জোরদার করতে হবে। সমাবেশে ওয়ার্ড ও ইউনিটভিত্তিক সাংগঠনিক প্রতিবেদন, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও কেন্দ্র প্রতিনিধিদের দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেন।

অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ একটি সুস্থ ও সামাজিক দেশ উপহার পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মুখে এখন একটাই আওয়াজ ‘সব দল দেখা শেষ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ’, সব দেখেছি বার বার, জামায়াতে ইসলামী এবার’ দেশের মানুষ তাদের সঠিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে বেছে নিয়েছে, কেউ চাইলেই আগের মত দিনের ভোট রাতে, মৃতদের ভোটে আর সরকার গঠন করতে পারবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সকল ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে তাতে আগামীর বাংলাদেশ হবে ‘ইসলামি শাসন ব্যবস্থার বাংলাদেশ’। আমরা আমাদের সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট কেন্দ্রগুলোতে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনে অটল থাকবো। কুরআনের হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য কিভাবে হাসতে হাসতে জীবন দিতে হয় তা আমাদের নেতারা ফাঁসির মঞ্চে দাড়িয়ে দেখিয়ে গেছেন, তাই আমরা কোন পরাশক্তির রক্তচক্ষুকে ভয় করি না, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট।