বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সফররত চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির সাথে বৈঠকের পর এ সম্পর্কে যে ব্রিফিং দিয়েছেন তাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রদান করে আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সফররত চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির সাথে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিং-এ আমি যে বক্তব্য দিয়েছি তাতে মূলত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদভাবে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা ও তাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়টি বুঝাতে চেয়েছি। আমার বক্তব্যের মাধ্যমে কোনো ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হলে তা এ বিবৃতির মাধ্যমে নিরসন হবে বলে আমি আশা করি। এটিই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিভঙ্গি।”

উল্লেখ্য, রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় রাজধানী ঢাকার গুলশানস্থ হোটেল ওয়েস্টিন-এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সাথে ঢাকা সফররত চায়নার কমিউনিস্ট পার্টির সাউথ এশিয়া রিজিওনের ডিরেক্টর জেনারেল পেং জিউবিন এর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং-এ ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের রোহিঙ্গা ইস্যূ নিয়ে বলেছিলেন, “আমরা পার্টির পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেছি সেটা হচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যু। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশে ১১ বা ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে; তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমরা বলেছি, ফুড, ক্লোথিং এবং শেল্টার এটা কোনো সমাধান নয়। সমাধান হচ্ছে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ ভূমিতে রিক্রিয়েট করা। সেজন্য আমরা একটি প্রস্তাবও দিয়েছি। সেটা হচ্ছে আরাকান কেন্দ্রিক রোহিঙ্গাদের যে মেজরিটি আছে, সে এরিয়াতে একটি ইন্ডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট করার প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। চায়না এখানে সবচাইতে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ মিয়ানমারের সাথে চায়নার বড় ধরনের রিলেশনশিপ আছে। তারা আমাদের এই নিউ প্রোপোজাল সম্পর্কে তাদের গভর্নমেন্টকে বলবে এবং উদ্যোগ গ্রহণ করার ব্যাপারে তারা চেষ্টা করবে।”