বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল, ফাঁসির মঞ্চ জয়ী এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, জামায়াত কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল না বরং আমরা ছিলাম ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধী। এটাই ছিল আমাদের একমাত্র অপরাধ। কিন্তু যারা স্বাধীনতার সোল এজেন্সি নিয়েছিল তারাই দেশটাকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করে এখন প্রভুদের দেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি গত বুধবার সকালে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে এক বিরাট পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দান কালে এসব কথা বলেন। দাগনভূঞা উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ও উপজেলা আমীর মাওলানা গাজী সালেহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত পথসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফেনীর দুই আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ফেনী জেলা আমীর মুফতি আব্দুল হান্নান, ফেনী ৩ আসনের জামায়াত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ডাক্তার ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ কর্মপরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা এইচআরডি সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফখরুদ্দিন, জেলা পেশাজীবী সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দীক মানিক, শিবিরের জেলা সেক্রেটারি আরমান হোসেন, সাবেক উপজেলা আমীর নুর নবীর দুলাল প্রমুখ । বর্ষিয়ান জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, জামায়াত শিবির এদেশের অতন্দ্র প্রহরী। তাই আমাদের উপর জুডিশিয়াল কিলিং, গুম, খুন, আয়না ঘর সহ হেন কোন জুলুম নেই যা করা হয়নি। কিন্তু আমরা দেশ ছেড়ে পালাইনি। ফ্যাসিস্টরা শুধু নিজেরা পালিয়ে যায়নি দেশ থেকে নিয়ে গেছে ২৮ লক্ষ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, লাঙ্গল মার্কা দেখেছেন নৌকা মার্কা দেখেছেন, ধানের শীষ দেখেছেন, এবার একবার দাঁড়িপাল্লাকে ভোট দিয়ে পরীক্ষা করুন।
পথসভা শেষে জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ওমরাবাদ গ্রামের আমিন বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত, ইসলামী আন্দোলনের কঠিন সময়ের কান্ডারী, সাবেক আমীরে জামায়াত মরহুম মকবুল আহমাদের কবর জিয়ারত করেন। পরে মকবুল আহমাদের দান করা ৯২ শতক জমির উপর তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিতব্য আঞ্জুবের নেছা ইসলামিক এডুকেশন কমপ্লেক্স এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ইতিমধ্যেই সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আঞ্জুবের নেছা মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা। কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত হয় এক সুধী সমাবেশ।
জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে উক্ত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, মজলুম জননেতা, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক সংগ্রামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মরহুম মকবুল আহমাদের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ও প্রতিবেশী, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডঃ নুরুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ডাক্তার ফখরুদ্দিন মানিক ,অ্যাডভোকেট এ এস এম কামাল উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মেজবাহ উদ্দিন সাইদ ,জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবু ইউসুফ, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিম, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য আবু ইউসুফ ও পরিবারের অন্য সদস্য বৃন্দ সোনাগাজী উপজেলা জামায়াতের আমির মোঃ মোস্তফা প্রমুখ
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন আমাদের সমাজে ভালো কাজ করার লোকের অনেক অভাব করলেও সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয় লোক দেখানো মরহুম মকবুল আহমদ ছিলেন তার সম্পূর্ণ বিপরীত তিনি শুধু ফেনী জেলায় অগণিত স্কুল কলেজ মাদ্রাসা এতিমখানা করে গেছেন যার প্রতিা পরিণত হয়েছে এক একটা বহি রূপে পরিণত হয়েছে নিরবে নিভৃতে তিনি এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে গেছেন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান কে সহযোগিতা করা যা সাদকায়ে জারিয়া হিসাবে পরকালে জান্নাতের পথ সুগম করবে
ডক্টর নুরুল আমিন ইসলামিক এডুকেশন কমপ্লেক্সের নবযাত্রায় সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন আজ যে প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করেছে তা একদিন বিশাল দেশ সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রায় প্রধান বাধা হয়ে ওঠে পর্যাপ্ত জমি পাওয়া নিয়ে।কিন্তু মরহুম মকবুল আহমাদ পর্যাপ্ত জমি দিয়ে আমাদের জন্য সেকাজ সহজ করে দিয়ে গেছেন। এই প্রতিষ্ঠান একদিন অত্র এলাকায় জ্বলজ্বলে আলোক বর্তিকা হয়ে এই এলাকাকে আলোকিত করবে। সেদিন বেশী দূরে নয় যেদিন দেশ বিদেশের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠবে অত্র প্রতিষ্ঠান ও এই এলাকা।