বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ইসলামী ছাত্রশিবেরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব হলো আইনশৃংখলা বাহিনীর। এ ক্ষেত্রে আইনশৃংখলা বাহিনী সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে। বিশেষ করে পাঁচ আগস্টের পর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা যে ধরনের নিরাপদ পরিবেশ আমরা আশা করেছিলাম সে ধরনের নিরাপদ এবং স্বস্তির পরিবেশ কিন্তু আমরা পাচ্ছি না। এজন্য আমরা মনে করি আইনশৃংখলা বাহিনী কিন্তু এখানে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। কারণ প্রশাসনে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসর আছে, তাদেরকে যদি প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করা হয় তাহলে প্রশাসন আরো ভালভাবে কাজ করতে পারবে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের আরাজী কৃঞ্চপুর সাহাপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের বাড়িতে চুরির ঘটনায় পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি দেশের জন্য কাজ করি, জাতির জন্য কাজ করি আমাদের ধরা মাত্রই পিটিয়ে পঙ্গু বানিয়ে দেয়া হয়। অথচ এখানে চুরির ঘটনায় চোর স্বীকারোক্তি দিয়েছে তারপরও তাদের জামাই আদরে রাখা হয়েছে। পুলিশ চাইলেই তাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে যে কোন আসামী গ্রেফতার করা সহ মালামাল উদ্ধার করতে পারে। যেখানে এলাকাবাসি চুরির সাথে জড়িত ছয়জনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটককৃতরা চুরির কথা স্বীকার করেছে অথচ পুলিশ এখনো মালামাল উদ্ধার করতে পারছে না।
ঠাকুরগাঁওয়ের ওসি এসপিকে উদ্দেশ্য করে দেলাওয়ার হোসেন বলেন, আমরা আপনাদের অনুরোধ করব জনগণের পালস বুঝার চেষ্টা করুন, জনগণের মনের কষ্ট বুঝার চেষ্টা করন। যে জিনিস গুলো চুরি হয়েছে সেগুলো উদ্ধারের ব্যবস্থা করুন। তা নাহলে আপনারা জনরোষের মধ্যে পরে যাবেন।
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীর, সহকারি সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহাম্মদসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্ল্যেখ্য, গত ২৯ মার্চ রাত সোয়া আটটার দিতে আব্দুল জলিলের বাসার লোকজন তারাবির নামাযে মসজিদে গেলে বাসার দরজা ভেঙে ১২ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৯২ হাজার টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।