৭ নবেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনে ঢাকাসহ সারাদেশে শোভাযাত্রাসহ ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল রোববার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের এক যৌথ সভা শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নবেম্বর আমাদের কাছে, গোটা জাতির কাছে অত্যন্ত গুরুকত্বপূর্ণ একটা দিন। সেজন্য আমরা আজকে যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে যে, আমরা যথাযোগ্য মর্যাদায় সঙ্গে পালন করব। সেই জন্য আমরা ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছি.. এই কর্মসূচি হবে ৫ নবেম্বর থেকে ১৩ নবেম্বর পর্যন্ত।
কর্মসূচিসমূহ হচ্ছে, ৭ নবেম্বর সকাল ১০টায় জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ নেতা-কর্মীরা শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেদিন বেলা তিনটা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন বিভাগ-জেলাসহ সারাদেশেও র্যালী অনুষ্ঠিত হবে। ৭ নবেম্বর ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিএনপির আালোচনা সভা হবে ১২ নবেম্বর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে হবে।
বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ৭ নবেম্বর নিয়ে নিজেদের সময়সূচি অনুযায়ী আলোচনা সভা করবে। এর মধ্যে শ্রমিক ৫ নবেম্বর, ছাত্র দল ৭ ও ৮ নবেম্বর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ওলামা দল ৯ নবেম্বর এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাসামগ্রি বিতরণ, তাঁতী দল ১০ নবেম্বর, কৃষক দল ১১ নবেম্বর এবং জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৩ নবেম্বর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে।
৭ নবেম্বর উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ, জাতীয় সংবাদ পত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রচার করা হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট শেখ মজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দি।
৭ নবেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। এর মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। বিএনপি এই দিনকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, ত্ইাফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ. মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন, মুক্তিযোদ্ধা দলে ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, স্বেচ্ছাসেবক দলের স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, শ্রমিক দলের মণ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, কৃষক দলের মামুনুর রশীদ খান, মহিলা দলের শাহানা আখতার সানু, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, যুব দলের নুরুল ইসলাম সোহেল, ওলামা দলের মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন, ছাত্র দলের নাছির উদ্দীন নাছিরসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিরা যৌথ সভা অংশ নেন।